ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ধামরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোকামটোলা এলাকায় ইব্রাহিম হোসেনের চারতলা ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- ভাড়াটিয়া নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া, তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম, মেয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী নিশরাত জাহান সাথী ও ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ।
স্বজনরা জানান, বুধবার রাদে সেহরির খাবার রান্না করতে রান্নাঘরে যান সুফিয়া বেগম। এ সময় তিনি গ্যাসের চুলা জ্বালানোর জন্য আগুন ধরানোর সঙ্গে সঙ্গে লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে পুরো ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারের চার সদস্য অগ্নিদগ্ধ হন।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ধামরাই ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদেরকে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেন। বিস্ফোরণে ওই ফ্ল্যাটের আসবাবসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, ‘সেহরির জন্য রান্না করতে গেলে তিন কক্ষবিশিষ্ট ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই পরিবারের চারজন দগ্ধ হন।’
তিনি বলেন, ‘তিতাসের গ্যাসের আবাসিক সংযোগের পাশাপাশি গ্যাস সংকটের সময় তারা সিলিন্ডার গ্যাসও ব্যবহার করতেন। সিলিন্ডার নাকি আবাসিক গ্যাস সংযোগের গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়নি। আগুনে প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনে নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়ার শরীরের ৪৮ শতাংশ, সুফিয়া বেগমের ৮০ শতাংশ, নিশরাত জাহান সাথীর ১৬ শতাংশ ও আল হাদী সোহাগের দেহের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে অপরজনের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।’