বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিগারেটের ভেতর ইয়াবা দিয়ে দোকানিকে ফাঁসানোর চেষ্টা

  • প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ   
  • ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৭:৩০

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পুলিশের সোর্স হওয়ায় নানাভাবে এলাকার মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হয়রানি করে আসছে রাব্বি। রাব্বি এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে এখনও ৩টি মাদক মামলা চলমান থাকলেও তিনি নাকি পুলিশের সোর্স।

মানিকগঞ্জে সিগারেটের ভেতর ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ওসমান গনি নামে এক মুদি দোকানিকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সোর্সের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের ভাটবাউর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ ও থানা ঘেরাওয়ের পর রাত ১০টার দিকে ওসমান গনিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।

ভুক্তভোগী ওসমান গনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের ভাটবাউর এলাকার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে।

অভিযুক্ত পুলিশের সোর্স সাদিকুল ইসলাম রাব্বিও একই এলাকার বাসিন্দা।

ওসমান বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে আমার দোকানে এসে পাঁচ টাকা দামের একটি সিগারেট কিনে চলে যায় স্থানীয় বখাটে ও পুলিশের সোর্স সাদিকুল ইসলাম রাব্বি। কিছুক্ষণ পর সিগারেট ড্যাম বলে সেটি পাল্টে নিয়ে যায় সে।

‘এরপর আমি দোকান বন্ধ করে ইফতার শেষে আবার দোকান খোলার পর সাব-ইন্সক্টের মাসুদুর রহমানসহ তিন পুলিশ সদস্য আমার দোকানে এসে মাদকের কথা বলে দোকান তল্লাশি শুরু করেন। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুজির পর রাব্বির ফিরিয়ে দেয়া সিগারেটের ভেতর থেকে দুই পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ।’

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পুলিশের সোর্স হওয়ায় নানাভাবে এলাকার মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হয়রানি করে আসছে রাব্বি। এর আগেও মানুষকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে সে।

তার দাবি, রাব্বি এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে এখনও ৩টি মাদক মামলা চলমান থাকলেও তিনি নাকি পুলিশের সোর্স।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে পুলিশের সঙ্গে মিলে টাকার খাওয়ার ধান্ধা করছিল সে। পুলিশ আর রাব্বি মিলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু আল্লাহর রহমতে আর এলাকার মানুষের কারণে বেঁচে গেছি। তা না হলে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে টাকা খাইতো।’

মানিকগঞ্জ সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মাসুদুর রহমান জানান, মুদি দোকানের আড়ালে ভাটবাউর বাজারের মুদি দোকানি ওসমার গনি মাদক ব্যবসা করে আসছেন বলে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে ওসমান গনির দোকান তল্লাশি চালিয়ে তার দোকানের একটি সিগারেটের ভেতর থেকে দুটি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

তিনি জানান, ওসমান গনিকে আটকের পর সন্ধ্যায় ভাটবাউর এলাকার শতাধিক মানুষ থানায় আসেন এবং ওসি সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করে ওসমান গনিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, ওসমান গনিকে ছেড়ে দেয়ার পর সাদিকুল ইসলাম রাব্বিকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বির দাবি, আরিফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি মুদি দোকানে মাদকের তথ্য দিয়েছে। এজন্য আরিফ হোসেনকে থানায় নিয়ে আসতে রাব্বিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের লিটন বলেন, ‘ওসমান গনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। তিনি কখনও বিড়ি-সিগারেটও খান নাই। এলাকায় তার মতো ভালো মানুষ কমই আছে। অবৈধভাবে মাদক দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশকে আরও সর্তকতার সঙ্গে কাজ করা উচিত। কারণ পুলিশের সোর্স সাদিকুল ইসলাম রাব্বি নিজেই একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে মামলাও আছে।’

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. হাবিল হোসেন বলেন, ‘মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে মুদি দোকানি ওসমান গনিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে প্রাথমিক অবস্থায় সাদিকুল ইসলাম রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং সে কীভাবে মাদকের তথ্য পেয়েছে- সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে তাকে দুদিন সময় দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর