বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের মানুষ কোনো দেশের প্রভুত্ব মেনে নেবে না: বিএনপি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৫৩

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ফকির আলমগীরের একটি গান আছে- দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারও দানে পাওয়া নয়। আমরা রক্তের দাম দিয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। কারও দয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। আজ সেই বোধ নিয়ে রুখে দাঁড়ান। আন্তর্জাতিক বিশ্ব নিশ্চয় সেই বিষয়গুলো দেখবে। দেখেছে অতীতেও।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কোনো দেশ যদি মনে করে আমাদের ওপর প্রভুত্ব করবে, বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন সেই প্রভুত্ব স্বীকার করেনি। মুঘল আমলে করেনি, ব্রিটিশ আমলে করেনি, পাকিস্তান আমলেও করেনি। এখনও করবে না।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই সমাবেশের আয়োজন করে। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সমাবেশ শুরু হয়ে দুপুর ১২ টায় শেষ হয়। সমাবেশের ব্যানারে নিচে লাল ও কালো রঙে বাংলা এবং ইংরেজিতে লেখা ছিলো- ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন।’

নয়াপল্টনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা

সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফকির আলমগীরের একটি গান আছে- দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারও দানে পাওয়া নয়। আমরা রক্তের দাম দিয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। কারও দয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। আজ সেই বোধ নিয়ে রুখে দাঁড়ান। আন্তর্জাতিক বিশ্ব নিশ্চয় সেই বিষয়গুলো দেখবে। দেখেছে অতীতেও।’

‘গত দুই বছরে আমাদের ২২ জন নেতাকর্মী রাজপথে প্রাণ দিয়েছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। অনেকের হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে। ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা দরজা বন্ধ করে রেখে দিয়েছে। সুতরাং মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নামতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে না নামলে আপনারা জয়ী হতে পারবেন না। শ্রমিক ও ছাত্রদের নামাতে হবে। সেদিনই হবে সফল গণঅভ্যুত্থান, সফল বিস্ফোরণ এবং বিজয়।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এবং প্রতিরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে জোর করে এই দখলদার শাসক গোষ্ঠী বাংলাদেশের মানুষের বুকের ওপর চেপে বসে আছে। এদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই, এদের কোনো সাংবিধানিক অধিকার নেই এই চেয়ারগুলোতে বসে থাকার।

‘এরা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে ১৯৭৫ সালেও প্রতারণা করেছিলো। বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আজকে আবার ভিন্ন কায়দায় ছদ্মবেশে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে।

‘আজকের অবস্থা আরও ভয়াবহ। এই যে আপনারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। ক্ষমতাসীনরা এটার টেকনোলজি ব্যবহার করে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যা কিছু করে তা তারা দেখতে পায়। শুনতে পায়। ফলে যখন বাংলাদেশের কোনো মানুষ কথা বলতে চায়, প্রতিবাদ করতে চায়, বিপ্লব করতে চায় এবং ঘুরে দাঁড়াতে চায় তখনই ওরা তাকে তুলে ফেলে।’

ফখরুল বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) বিরোধী দলকে আসতে দেয়নি। অত্যন্ত সুকৌশলে ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে মানুষের মতামতকে কেড়ে নিয়েছে। আর এবার আরও চমৎকার নাটক করেছে। নিজেরা নিজেরাই নির্বাচন করেছে। ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। যারা বিরোধী দল বলে দাবি করে তাদের আসন বন্টন করে একটা নির্বাচন করেছে, যে নির্বাচনকে কেউ গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করেনি, আন্তর্জাতিক বিশ্বও গ্রহণ করেনি।’

মুক্তিযুদ্ধ করার লক্ষ্য তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংবিধানে পরিষ্কার বলা আছে যে এ দেশের মালিক জনগণ। কী দুর্ভাগ্য আমাদের, আজ ৫২ বছর পরও এই বাংলাদেশের মানুষ তাদের মালিকানা হারিয়ে ফেলেছে। তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর