ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় অভিযোগ করে এ কর্মসূচির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সচিবালয় থেকে রোববার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গাজীপুর-এয়ারপোর্ট বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সাতটি ফ্লাইওভার উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
কাদের বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে এখনও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যে লেনদেন, আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে, এর মধ্যে এই ধরনের বিষয় কি বাস্তবসম্মত?’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা ব্যর্থতার জন্য নিজেরাই ক্লান্ত। তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারও সাথে কারও কথার মিল আমরা দেখি না।
‘(আবদুল) মঈন খান ভারতের সহযোগিতা চান। (রুহুল কবির) রিজভী আবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন।’
দেশের তরুণ প্রজন্মকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদের বক্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করার লোক পায় না। সামরিক প্রশিক্ষণ কাকে দেবে? এটি প্রতারণাপূর্ণ একটি কৌশল।
‘আসলে দলটির নেতারা একেকজনে একেক কথা বলেন। এখন আমরা শুনতে চাই দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী বলেন। তিনিই দলের মুখপাত্র।’
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা।
তার প্রশ্ন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের চিন্তা সরকার কেন করবে? এর কোনো যুক্তিও নেই, বাস্তবতাও নেই।
‘নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো কথা বলা নেই।’