নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে জোর করে এক নারীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ১৩ মার্চ ভুক্তভোগী নাজমা নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
উপজেলার রথী গ্রামের মাহফুজুল হকের স্ত্রী নাজমার অভিযোগ, সোনাইমুড়ীতে সম্পত্তি কিনে বিপাকে পড়েছেন তারা। ভূমিদস্যু কামাল ও তার সমর্থকরা চাঁদা দাবি করে হুমকি দিচ্ছেন।
চাঁদার দাবিতে হুমকি ছাড়াও কামাল তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে সোনাইমুড়ী থানায় গত ২২ মার্চ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন নাজমা।
নাজমা লিখিত অভিযোগে বলেছেন, ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর সোনাইমুড়ী মৌজায় ২৫ ৩৭ নম্বর দাগে সাড়ে বারো শতাংশ সম্পত্তি কেনেন তার স্বামী। ওই সম্পত্তিতে নাজমা বেগম ১৩ মার্চ সকালে সিমেন্টের পিলার দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছিলেন।
অভিযোগে বলা হয়, এ সময় সোনাইমুড়ী গ্রামের ভূমিদস্যু কামাল হোসেন তার সহযোগী ৮ থেকে ১০ জন এসে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়। একপর্যায়ে এখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে হলে নির্দিষ্ট অংকের টাকা দাবি কর হয়। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় নাজমা বেগমকে ভূমিদস্যুরা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ, ভয় ভীতি প্রদর্শন, হুমকি দেন।
এ ছাড়াও কামালদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উপজেলার পশ্চিম দৌলতপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা ওমান প্রবাসী হারুনুর রশিদের স্ত্রী রহিমা বেগমও অভিযোগ করেছেন।
নাজমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘এই এলাকার অনেক মানুষ কামাল গংদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। কষ্ট করে আমার স্বামীর টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছি। এখন সম্পত্তিতে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর দিয়ে কিছু সম্পত্তি দখলে নিয়েছে কামাল গংরা। এখন উল্টো এ সম্পত্তি নিতে আমাকে টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দিচ্ছে।’
সোনাইমুড়ী থানার এসআই সুভাষ দাস বলেন, ‘নাজমা বেগম এসপির কাছে দরখাস্ত দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা দেখছি।’
সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, পরে মহিলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।’