জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি এখন সস্তা ইস্যু তৈরি করতে ভারতীয় পণ্য এবং ভারতের বিরোধিতা করছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, ‘বিএনপি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. মঈন খানেরা যখনই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেকায়দায় পড়েছেন, তখনই সস্তা ইস্যু তৈরি করে ভারত-বিরোধিতা করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেছেন। এই ভারতীয় পণ্য বর্জন, ভারত-বিরোধীতা হলো ওদের রাজনৈতিক হালে পানি পাওয়ার জন্য অপচেষ্টা মাত্র।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খুনিদের অবাধ বিচরণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। যাদের আমরা মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত করেছিলাম, সেই ঘাতকদের অবাধ চারণভূমিতে পরিণত করেছিল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এরশাদরা; আবার সেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
স্বাধীনতার ঘোষক প্রসঙ্গে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান হঠাৎ করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে এসে স্বাধীনতার ঘোষণা করে ঘোষক হয়ে গেলেন! যদি জিয়াউর রহমান ঘোষক হন, আমিও বরিশালে মাইকিং করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা; তাহলে তো আমিও ঘোষক।
‘যদি জিয়াউর রহমান ঘোষক হন, তাহলে অন বিহাফ অফ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলে স্বাধীনতার ঘোষণা কেন? তাহলে কি জাহাঙ্গীর কবির নানকও ঘোষক? তাহলে কি কলরেডিও ঘোষক? এগুলো হলো ইতিহাস বিকৃতি।’
এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বক্তব্য দেন।
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।