বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে ডেমরায় আগুন লাগা ভবনটি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২২ মার্চ, ২০২৪ ১৯:০৮

ভবনটি নির্মাণের অনুমোদনের বিষয়ে এক প্রশ্নে ফায়ার কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে জানাতে পারব যে ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে আদৌ কোনো অনুমোদন নেয়া হয়েছিল কি না। তবে ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেক ব্যত্যয় ছিল।’

রাজধানীর ডেমরার ভাঙা প্রেস এলাকায় যে যে ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষাণা করা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ভবনটি ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে শুক্রবার সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ইনসিডেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম।

ভবনটিতে থাকা কাপড়ের গুদামে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে। সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন পুরোপিুরি নিভিয়ে ফেলা হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট এই আগুন নির্বাপণে কাজ করেছে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। আগুন নেভাতে গিয়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন।

রেজাউল করিম বলেন, ‘ভবনটি নির্মাণে কোনো ধরনের নীতিমালা মানা হয়নি। এখানে নেই ফায়ার এক্সিট, ভেতরে ঢোকার সিঁড়িও খুবই সংকীর্ণ। পাশের অন্য ভবন থেকে পানি দেয়ার সুব্যবস্থাও নেই। এখানে ভবনগুলো সব লাগোয়া। ভবনটির নিচে নেই নিজস্ব কোনো ওয়াটার রিজার্ভ।

‘এখানকার ভবনগুলো পাশাপাশি, ঘন ঘন ও লাগোয়াভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনের ঠিক পূর্ব পাশের ভবনটিও লাগোয়া। একই দেয়াল, এক ইঞ্চিও ফাঁকা নাই। যে কারণে আমরা ভবনটির পূর্ব পাশ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি দেয়াসহ কোনো কাজই করতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘ভবনের ঢোকার সিঁড়িটি খুবই সংকীর্ণ। মালামাল স্তূপ করে সাজানো রয়েছে। ওঠানামার জন্য জায়গাটি মোটেও পর্যাপ্ত নয়। বিকল্প কোনো সিঁড়ি নেই, বিকল্প এক্সিট রুটও রাখা হয়নি। ভবনটির নিচে যে ওয়াটার রিজার্ভ থাকার কথা ছিল সেটি আমরা পাইনি।

‘শুধু তাই নয়, এই আগুন লাগা ভবনের আশপাশে যেসব ভবন রয়েছে সেখানেও আমরা পানির রিজার্ভ পাইনি। এসব ব্যত্যয়ের কারণে আমাদের আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে।’

ভবনটি নিয়ম মেনে নির্মাণ বা নির্মাণের অনুমোদন ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে জানাতে পারব যে ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে আদৌ কোনো অনুমোদন নেয়া হয়েছিল কি না। আমরা ভবনটির গ্রিল ও দেয়াল কেটে জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মালামাল সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। আমাদের কাছে যৎসামান্য থাকা পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি।’

গোডাউন তৈরিতে যে স্টোরেজ নীতিমালা থাকার কথা সেটি এখানে মানা হয়নি উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো জিনিস রাখতে হলে গ্যাপ দিয়ে রাখতে হয়। সেটা আমরা এখানে দেখতে পাইনি। একটা একটা করে জিনিস সরিয়ে ভেতরে ঢুকে কাজ করতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ভবনটি ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করে দেখেছি ভবনের যে অবকাঠামোগত শক্তি সেটা আর নেই। একেবারে কমে গেছে। ভবনটির এক জায়গায় ছাদ ফেটে গেছে। যে কারণে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাঠামোগত শক্তি একেবারেই হারিয়েছে ভবনটি।’

এখানে আগুন নির্বাপণ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কারো অবস্থা গুরুতর নয়। কেউ শ্বাস কষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ভবনটি নির্মাণের অনুমোদনের বিষয়ে এক প্রশ্নে ফায়ার কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে জানাতে পারব যে ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে আদৌ কোনো অনুমোদন নেয়া হয়েছিল কি না। তবে ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেক ব্যত্যয় ছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর