বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রস্তুত রাজশাহীর সিল্কপাড়া, ক্রেতার জন্য অপেক্ষা

সপুরা সিল্ক মিলস লিমিটেডের ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, ‘এবার আমরা তিন হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি বানিয়েছি। পাঞ্জাবি আমাদের এখানে আছে ৪৫০০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে, শার্ট ২৫০০ থেকে ৪ হাজার, থ্রিপিস ৬৫০ টাকা থেকে ৪০ হাজার।’

ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর সিল্ক শ্রমিকরা। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে শো রুমগুলো। সেই সঙ্গে কারখানাগুলোতে চলছে দিন রাত ব্যস্ততা, তবে এখনও এখানকার শিল্কপাড়া সেভাবে জমে না উঠলেও ক্রেতারা আসছেন এবং পছন্দের পণ্যটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, ১৫ রোজার পর থেকে বাড়তি চাপ আশা করছেন তারা। এবারে ভালো ব্যবসার আশা করছেন সিল্ক ব্যবসায়ীরা। রোজার শেষ পর্যন্ত এখানে ৫০ কোটি টাকা ব্যবসার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রমজানের কদিন আগে থেকেই ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে রাজশাহী নগরীর সিল্ক কারখাগুলোতে কারিগররা ব্যস্ততম সময় শুরু করেন।

সপুরা সিল্কে গিয়ে দেখা গেল, কারিগররা কেউ রেশমের গুটি থেকে সূতা তৈরি করছেন, কেউ কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত আবার কেউ কাঠের ফ্রেমে বেঁধে শাড়ি, ওড়না, পাঞ্জাবি ইত্যাদিতে বাহারি রঙের কারুকার্য জুড়ে দিয়ে তৈরি করছেন নান্দনিক নকশা।

উষা সিল্কের শো রুমে গিয়ে দেখা মিলল, থরে থরে সাজানো সিল্ক পণ্য।

সিল্কের শ্রমিকরা জানান, সারা বছরজুড়েই তাদের হাতে কাজ থাকে, তবে অন্য সময়ের চেয়ে এ রমজান মাসের ব্যস্ততাটা অন্যরকম। এখন শুধু কাজ আর কাজ। রাজশাহীর সপুরা সিল্ক, উষা সিল্ক, আমানা সিল্ক, রাজশাহী সিল্কসহ সব প্রতিষ্ঠানেই এখন ক্রেতার জন্য অপেক্ষা চলছে।

তারা বলছেন, এবার সিল্কের শাড়ি ও পাঞ্জাবির দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এর পাশাপাশি থ্রিপিস ও অন্য সামগ্রী কিনছেন তারা।

রাজশাহী সপুরা সিল্কে শাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন নাহিদা আখতার।

তিনি বলেন, ‘সিল্কের প্রতি ঝোঁক আগে থেকেই। ঈদ আসলে আগ্রহ বাড়ে আরও বেশি। এবারে কিছু নতুন ডিজাইন এসেছে। প্রথমে বাচ্চাদের কাপড় কিনব। পরে নিজের পছন্দ করে শাড়ি নেব।’

নওরিন আরা বললেন, তিনি সিল্কের শাড়ি কিনবেন ঈদে। যেসব শাড়ি দেখছেন সেগুলো ভালোই লাগছে তার। দাম নিয়েও কোনো অভিযোগ নেই নওরিনের।

তিনি বলেন, ‘সব কিছুরই দাম বেড়েছে এ কারণে কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়বে এটা ধরে নিয়েই বাজারে এসেছি।’

রাজশাহী সিল্ক ফ্যাশনের ম্যানেজার সেলিম রেজা বলেন, ‘রমজান এখন শুরু। আমার প্রস্তুতি রেখেছি। আশা করছি অন্য বছরের চাইতে এবার বেশ ভালো ব্যবসা করব। কিছু ক্রেতা এখন সন্ধ্যায় আসছে, তবে ১৫ রমজানের পর থেকে হয়ত ভালোভাবে ক্রেতারা আসবে।’

সপুরা সিল্ক মিলস লিমিটেডের ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবারের চাইতে এবার আমরা আরও বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। রমজানের শুরুতে এবার ছুটিও গেছে। ফলে ওই কয়েকদিন বেশ ভালো ব্যবসা হয়েছে। মানুষের ভিড়ও ছিল।’

তিনি বলেন, ‘এবার আমরা তিন হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি বানিয়েছি। পাঞ্জাবি আমাদের এখানে আছে ৪৫০০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে, শার্ট ২৫০০ থেকে ৪ হাজার, থ্রিপিস ৬৫০ টাকা থেকে ৪০ হাজার। আমরা সকাল থেকে রাত ১০টা-১১টা পর্যন্ত খোলা রাখি। এবারের দাম আগের মতোই রাখা হয়েছে।’

রাজশাহী সিল্ক মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, ‘রমজান কেবল শুরু। এখনই বলা যাচ্ছে না কেমন বেচাকেনা হবে, তবে আমরা আশাবাদী ভালোই হবে। এবার আমরা আশা করছি অন্তত ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর