চলছে চৈত্র মাস। দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই এখনও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। শীত শেষ হতে না হতেই হঠাৎ শুরু হয়েছে প্রখর রোদ। রোদে শুকিয়ে গেছে খাল-বিল, জলাশয় ও নিচু জমিতে থাকা পানি।
এ অবস্থায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় চলছে মাছ ধরার ধুম। বিশেষ করে রাস্তার ধারের জলাশয়গুলোতে দেখা যাচ্ছে মাছ ধরার দৃশ্য।
ছোট-বড় সবাই মিলে শুকিয়ে যাওয়া খাল-বিল, জলাশয় ও জমি থেকে ধরছেন দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। পানি সেচে ফেলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাছ ধরা হচ্ছে। এসব জায়গাতে বেশিরভাগই ধরা পড়ছে ছোট ও ডিমওয়ালা দেশি মাছ। বড় মাছ খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না।
কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের মাদারীবন এলাকায় রাস্তার পাশে দেখা যায়, শুকিয়ে যাওয়া খেত ও খালে ডমকি দিয়ে সেচে জাল নিয়ে মাছ ধরছে শিশু ও বড়রা। কেউ কেউ কাদার মধ্য থেকে মাছ ধরছেন। কেউ আবার আবাদি জমির ধারে খাদের পানিতে জড় হওয়া মাছ ধরছেন।
শৌখিন মাছ শিকারী আলাল মিয়া বলেন, ‘পানি সেচের পর সকাল থেকে মাছ ধরতে শুরু করেছি। পুঁটি, মলা, টাকি, টেংরা ও কই মাছ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে ডোবায় পানি জমে ছিল। এখন পানি প্রায় শুকিয়ে যাওয়ায় মাছ ধরছি। চার-পাঁচ কেজির মতো মাছ পেয়েছি। এগুলো বাজারে বিক্রির জন্য না। আমার বাড়িতে সবাই মিলে খাব।’
কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এখন তো শুকনো মৌসুম। খাল-বিলে তেমন পানি নেই। তাই জলাশয়, খাল ও বিলে মাছ ধরার ধুম পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উপজেলার শৌখিন মাছ শিকারীরা বিভিন্ন জলাশয় থেকে মাছ ধরছেন। এতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে।’
তবে কিছু অসৎ জেলে বিষ ও চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করায় দেশীয় বিভিন্ন মাছের প্রজাতি হুমকির মুখে বলে জানান এ কর্মকর্তা। বলেন, ‘বহুবার অভিযান পরিচালনা করেছি। তারপরও তারা তা ব্যবহার করছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়।’