কুমিল্লার তিতাসে বাকিতে সিগারেট না দেয়ায় মানিক নামের এক দোকানীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে বাহাউদ্দীন ও জালাল উদ্দীন নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কানাইনগর গ্রামের ভূইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
৩২ বছর বয়সী মানিক ওই গ্রামের মো. মোখলেস ভূঁইয়ার ছেলে। তিন সন্তানের রেখে অকালে এভাবে চলে যাওয়া দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী ভূঁইয়া বাড়ির বাহাউদ্দীন আমার স্বামীর কাছে সিগারেট বাকি চায়, কিন্তু দোকানে সিগারেট না থাকায় আমার স্বামী বলেন- সিগারেট নাই। এতে বাহাউদ্দীন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হলে পরে বাহাউদ্দীন বাড়ি চলে যায়।
‘কিছুক্ষণ পর সে (বাহাউদ্দীন) ঘর থেকে তার বাবার সামনেই দা হাতে তার আপন ভাই জালাল উদ্দীনকে সঙ্গে নিয়ে এসে আমার স্বামীকে কোপাতে আসে। শুরুতে প্রতিবেশীদের বাধার মুখে তারা ফিরে গেলেও পরে আবারও ছুরি নিয়ে এসে দোকানে ঢুকে জালাল আমার স্বামীকে জাপটে ধরে আর তার ভাই বাহাউদ্দীন গলায় ছুরি মেরে পালিয়ে যায়।’
তিনি জানান, এর আগেও তারা মানিকের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়ে অনেক টাকা জমিয়েছে। আর সেই টাকা চাইতে গিয়ে কয়েকবার মারধরের শিকারও হয়েছেন তার স্বামী।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পরপরই মুমূর্ষু অবস্থায় মানিককে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে তিতাস থানার ওসি কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ইতোমধ্যে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। খুনীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’