হিজরি ১৪৪৫ সালের সাদাকাতুল ফিতর তথা ফিতরার হার নির্ধারণ করেছে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া সভায় ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ দুই হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যেভাবে দেয়া যাবে ফিতরা
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইসলামি শরিয়াহ মতে, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের মতো পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেয়া যায়।
গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে এক সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে।
যব দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
এসব পণ্যের বাইরে পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি বা এর বাজারমূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।
উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজারমূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।