অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পত্তি গোপন করার অভিযোগে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে আলাদা দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বুধবার মামলা দুটি করেন।
মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাঁড়দহ ইউপি চেয়ারম্যান।
দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক খাইরুল হক বুধবার বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম তার সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে দুই কোটি ৫৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৪ টাকার সম্পদ প্রর্দশন করেন, কিন্তু দুদক তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই করলে স্থাবর, অস্থাবর ও পারিবারিক ব্যয় হিসেবে মোট পাঁচ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪৩ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। আলোচ্য সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় এক কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার ৬৭৯ টাকা।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম চার কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৪ টাকা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ ছাড়াও দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিন কোটি ২০ লাখ সাত হাজার ৮৫৯ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নেন তিনি, যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরেক মামলার এজাহারে বলা হয়, সাইফুলের স্ত্রী জোমেলা খাতুন তার সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে এক কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ প্রদর্শন করেন, কিন্তু দুদক তার দাখলিকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই করলে স্থাবর, অস্থাবর হিসাবের মোট এক কোটি ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ১৮ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। তিনি দুদকে দাখলিকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৯৯ টাকা মূল্যের সম্পদ তথ্য গোপন করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ বিষয়ে দুদক কর্মকর্তা খাইরুল হক বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ও অবৈধ সম্পদ র্অজনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।’