মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের বিশেষ অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও নৌ-ডাকাত নয়ন বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পিয়াস ওরফে ডাকাত পিয়াসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুকসহ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৩৩ বছর বয়সী পিয়াস সরকার গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে গজারিয়াসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, মাদক, নৌ-ডাকাতি, মারামারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
গজারিয়া থানা সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর তিনটার দিকে বিশেষ অভিযানে গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পাড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে থেকে একটি একনলা বন্দুক, ২টি কার্তুজ, ৩টি তাজা ককটেল ও কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে করে গজারিয়া থানার ওসি রাজিব খান বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান নেতৃত্বে নয়ন বাহিনীর বিরুদ্ধে আজকে আমরা একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় নৌ-ডাকাত নয়ন বাহিনীর প্রধান নয়নকে পাওয়া না গেলেও সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পিয়াসকে পাওয়া যায়।
‘পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পিয়াস ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ, ককটেল এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।’
তিনি বলেন, ‘অভিযানে পিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার সহযোগীরা পালিয়ে গিয়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’
মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, ‘আড়াই ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে নয়ন বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পিয়াসকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। সন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’