বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নেত্রকোণায় এনজিও কর্মকর্তাকে আটকে মারধরের অভিযোগ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২০ মার্চ, ২০২৪ ১৫:৪৩

ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে ওই ব্র্যাক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী গোলাম। আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে ঋণের টাকা আদায় করতে যাওয়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের এক কর্মকর্তাকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার নেত্রকোণা উপজেলার মাঘান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মারধরের শিকার ওই এনজিও কর্মকর্তার হলেন, মো. গোলাম নবী। তিনি মোহনগঞ্জের পানুর এলাকায় অবস্থিত ব্র্যাক এরিয়া অফিসে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত।

অভিযুক্তরা হলেন মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান গ্রামের মো. মুন্না মিয়া ও তার স্ত্রী পপি আক্তার।

পুলিশ ও অভিযোগের বরাতে জানা যায়, গত বছরের জুলাই মাসে মোহনগঞ্জ এলাকায় ব্র্যাক অফিস থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন মুন্না মিয়ার স্ত্রী পপি আক্তার। ওই ঋণের মাসিক কিস্তি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা। প্রথম তিন মাস নানান তালবাহানা করে কিস্তি পরিশোধ করেন ওই দম্পতি।

গত পাঁচ মাস যাবৎ এই দম্পতি কোনো কিস্তি দেননি। ব্র্যাক কর্মকর্তা গোলাম নবী মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কিস্তির টাকা আনতে যান ওই দম্পতির বাড়িতে। এ সময় অশালীন ভাষায় গোলাম নবীকে গালাগাল শুরু করেন মুন্না ও তার স্ত্রী পপি আক্তার।

এর প্রতিবাদ করলে মারধর করে গোলাম নবীকে আটকে রাখেন তারা। খবর পেয়ে অন্য ব্র্যাক কর্মকর্তারা ও পুলিশ গিয়ে গোলামকে উদ্ধার করে। পরে ভুক্তভোগী ব্র্যাক কর্মকর্তা রাতে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী গোলাম নবীর সহকর্মী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রাতে খবর পাই সহকর্মী গোলাম নবীকে মারধর করে আটকে রেখেছে মুন্না। খবর পেয়ে অফিস থেকে আমরা কয়েকজন মুন্নার বাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হই।

তিনি বলেন, মুন্না হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এই এলাকায় এমন কোনো ব্যক্তি নেই যে আমাকে কিছু করতে পারবে।’ এক পর্যায়ে মুন্না গোলামের সহকর্মী ইসমাইলসহ কয়েকজনকে খুন করার হুমকি দেন। পরে তারা বিষয়টি রাত ১১টার দিকে থানা পুলিশকে জানাই। দ্রুত পুলিশ গিয়ে গোলাম নবীকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মুন্না পালিয়ে যায়।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে ওই ব্র্যাক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী গোলাম। আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মোহনগঞ্জ উপজেলা ইউএনও ও উপজেলা এনজিও বিষয়ক সমন্বয় কমিটির সভাপতি মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘এ ঘটনাটির সংশ্লিষ্ট এনজিও থেকে কেউ আমাকে জানায়নি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে বলব।’

এ বিভাগের আরো খবর