গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বয়স্ক নারীদের মাদ্রাসা ও কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রে আগুন লাগার আতঙ্কে দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
জামিয়া রশীদিয়া আশরাফিয়া সেবা কমপ্লেক্স খিরাটীর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হালিমা খাতুন মাদ্রাসায় বয়স্কদের কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের কাছাকাছি মনোহরদী সদর উপজেলা ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আগুনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে ৭০ বছর বয়সী হালিমা বেগম মারা গেছেন। তিনি খিরাটী গ্রামের প্রয়াত সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী।
খিরাটি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামের ড. এম. এ. হাসান সাহেবের বাড়ির মাদ্রাসায় রমজান মাসে সকাল ১০টার দিকে মহিলাদের কোরআন শিক্ষা ক্লাস চলছিল। সে সময় ভবনের নিচ তলায় বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা দেখা দেয়। বৈদ্যুতিক তার পোড়ার গন্ধ ও সেই সঙ্গে ধোঁয়া বের হতে থাকে।
‘আশপাশের লোকজন চিৎকার করে বলে, আগুন লেগেছে। এতে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’
তিনি জানান, ভবনের ভেতরে কোরআন পড়তে আসা নারীরা সিঁড়ি দিয়ে নামতে শুরু করেন। ওই সময় একজন বয়স্ক নারী সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যান। এতে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
জাহিদুল আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ১৫ জনের মতো আহত হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে তারা আহত হয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় মানুষের ভিড় জমে যায়।’
মাদ্রাসার পরিচালক আবদুস সবুর বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়, তবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি। এলাকায় মানুষদের চিৎকারে আতঙ্কিত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে বয়স্ক নারীদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। একজন পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়ে মারা গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান সবসময় থাকে। তাদের সহায়তায় বড় ধরনের আগুন লাগার ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।’