বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: প্রাণহানি বেড়ে ১৩

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ মার্চ, ২০২৪ ১০:১৮

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাজীপুরে গ‍্যাসের আগুনে মশিউর রহমান নামে একজন দগ্ধ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) রাত পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেলেন। চিকিৎসাধীন আছেন ১৫ জন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। চারজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১৩ মার্চ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মৃত্যু হয় মশিউর রহমানের (২২)।

মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাজীপুরে গ‍্যাসের আগুনে মশিউর রহমান নামে একজন দগ্ধ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

‘এ নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) রাত পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেলেন। চিকিৎসাধীন আছেন ১৫ জন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। চারজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।’

মশিউর রহমানের বাবা হামিদুল মিয়া বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার পারুলিয়া গ্রামে। মশিউর গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত। আমার ছেলে এটিএস নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত।’

গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়।

তেলিরচালার টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছিলেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন তিনি। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে।

ওই সময় আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।

দগ্ধদের কোনাবাড়ী এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর