সিলেট-তামাবিল সড়কে পিকআপ ও লেগুনা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সিলেট এমএজি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আহত পাঁচজন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলায় সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সামনে তামাবিল সড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন প্রাণ হারান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দু’জন।
নিহতরা হলেন- জৈন্তাপুরের চিকনাগুল এলাকার যাত্রগোল (ঠাকুরের মাটি) গ্রামের সন্তোষ পাত্রের স্ত্রী মঙ্গলি পাত্র, একই গ্রামের নন্ত পাত্রের স্ত্রী সাবিত্রি পাত্র, কুষ পাত্রের স্ত্রী সুচিতা পাত্র ও তার ৬ মাস বয়সি মেয়ে সন্তান বিজলী, সুভেন্দ্র পাত্রের ৮ বছর বয়সী মেয়ে ঋতু পাত্র ও নিপেন্ত্র পাত্রের স্ত্রী শ্যামলা পাত্র।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন- সুভেন্দ্র পাত্রের স্ত্রী প্রণতি পাত্র, কুষ পাত্র ও তার দুই ছেলে এবং লেগুনাচালক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জৈন্তাপুরে তামাবিল সড়কে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সামনে সিলেটগামী গরু বোঝাই পিকআপের (সিলেট-মেট্রো-ন ১১-২২৬৪) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা লেগুনার (সিলেট-ছ ১১-১২৫২) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মঙ্গলি পাত্র, সুচিতা পাত্র, শিশু ঋতু পাত্র ও বিজলী।
খবর পেয়ে হাইওয়ে ও থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। ওসমানীতে নেয়ার পর সাবিত্রি পাত্র ও শ্যামলা পাত্র মারা যান।
জানা গেছে, হতাহতরা লেগুনায় চড়ে একটি বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিলেট-তামাবিল সড়ক দিয়ে চিকনাগুল থেকে উপজেলার মোকামপুঞ্জি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনার শিকার হন।
দুর্ঘটনায় ৬ জনের প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এ সময় সড়কটিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় অবরোধ তুলে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।