শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ তিন কর্মকর্তার দণ্ড ও সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া আদেশ বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
তবে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূস ও অন্য তিনজনের করা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করা হয়েছে।
ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিলগুলো বিচারাধীন রয়েছে।
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ওই আদেশ সংশোধন করে চারটি নির্দেশনা দিয়ে সোমবার রায় ঘোষণা করেছে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ।
এর ফলে ইউনূসসহ চার আসামির ৬ মাসের দণ্ড বহাল থাকবে। তবে সাজাভোগ, জরিমানা ও কয়েকটি বিষয়ে নির্দেশনা স্থগিত থাকবে।
ইউনূসের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘শ্রম আদালতের দেয়া দণ্ডের রায় ও আদেশ স্থগিত করেছিল শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু রায়ে সাজা ও দণ্ড দুটি বিষয়। সাজা স্থগিত করা যায়, দণ্ড স্থগিত করা যায় না।
‘রায়ে চারটি বিষয় আছে- দণ্ড স্থগিত হবে না, বহাল থাকবে এবং সাজাভোগ, জরিমানা ও কয়েকটি বিষয়ে নির্দেশনা। হাইকোর্ট দণ্ড স্থগিতের অংশ বাতিল করে বাকি তিনটি বিষয় স্থগিত করেছে।’
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) করা ফৌজদারি রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের স্থগিতাদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।
হাইকোর্ট বলে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ইউনূস ও এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহান জামিনে থাকায় তাদের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাজা স্থগিত থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় অভিযুক্ত ড. ইউনূসসহ তিনজন বিদেশে গেলে তাদের অবশ্যই শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানাতে হবে।
একইসঙ্গে এ মামলায় ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ তিন কর্মকর্তার দণ্ড ও সাজা স্থগিত করে ট্রাইব্যুনালের আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করে আদালত।
রুলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের স্থগিতাদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।