নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গ্রামবাসীর পিটুনিতে চারজন নিহত হয়েছেন।
রোববার মধ্যরাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কাচঁপুরের বাগরী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তারা পিটুনির শিকার হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের শনাক্ত করতেও কেউ আসেননি। মরদেহ নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পিটুনিতে আহত হওয়া আরও দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- আড়াইহাজারের মাহমুদ ও সোনারগাঁয়ের জাকির হোসেন।
সোনারগাঁয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসাইন জানান, রাতে দু্জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সকালে গ্রামের চর থেকে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোনারগাঁয়ের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন মিয়া জানান, আহত ডাকাত দলের সদস্যদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাগরী গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত একটার দিকে বাগরী গ্রামের বিলের পাড়ে আট থেকে দশজনের একটি ডাকাত দল ডাকাতির উদ্দেশে অবস্থা নেয়। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন তাদের দেখতে পেয়ে ছুটে গিয়ে গ্রামবাসীকে খবর দেন।
স্থানীয়রা জানান, পরে মসজিদের মাইকে ডাকাত বলে ঘোষণা দিলে গ্রামবাসী তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাদের ধরে পিটুনি দিলে দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যরা পালিয়ে বিলে ঝাঁপ দেন। পরে বিল থেকে উঠিয়ে আরও দুই ডাকাত সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন স্থানীয়রা। রাতে দুজন এবং সকালে দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসাইন বলেন, আহত ডাকাত দলের এক সদস্য জানিয়েছে, তারা সাতজন বিলের পাড়ে অবস্থান করছিলেন। তারা তাদের সহযোগী আরও তিনজন ডাকাতের অপেক্ষায় ছিলেন। ডাকাতরা রাতে বাগরী গ্রামের বাড়িঘরে ডাকাতির উদ্দেশে আসেন, কিন্ত গ্রামের লোকজন দেখে তাদের ঘেরাও করলে তারা বিলে ঝাঁপ দেন।
তিনি জানান, এ সময় তাদের পেটানো শুরু করে গ্রামবাসী। পরে বিল থেকে উঠিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত ও নিহতের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় সোমবার সোনারগাঁ থানায় মামলা হবে।