বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লায় গোলাগুলির মাঝে পড়ে নিহত হন ছাত্রদল নেতা অর্ণব

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা   
  • ১৬ মার্চ, ২০২৪ ২২:৫৯

নাম না প্রকাশ করার শর্তে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের গুলি, গুলির খোসা ও অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

কুমিল্লা নগরী সংলগ্ন শাসনগাছায় জামিল হাসান অর্ণব নামে এক ছাত্রদল নেতা দু’পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ২৫ অস্ত্রধারীকে শনাক্তের পর নজরদারিতে রেখেছে। কুমিল্লা নগরী সংলগ্ন ভারত সীমান্তেও নজরদারি করা হচ্ছে।

পুলিশের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের গুলি, গুলির খোসা ও অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে শনিবার জোহর নামাজের পর শাসনগাছা ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় জানাজা শেষে অর্ণবকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শাসনগাছা বাস টার্মিনালে লেগুনার স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে স্থানীয় দফাদার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে শুক্রবার টার্মিনালের পাশে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় মধ্যমপাড়া দফাদার বাড়ির মো. আজহার মিয়ার বড় ছেলে জামিল হাসান অর্ণব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। অর্ণব ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হন আরও তিনজন।

অপরদিকে ওই সংঘর্ষের ঘটনার তিন মিনিট ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, এক পক্ষের লোকজন অন্য পক্ষের ওপর গুলি, ককটেল ও ইট ছুড়ছে। তাদের মধ্যে তিন-চারজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ‌ও ১০-১২জনের হাতে রামদা। কয়েকজন মাস্ক পরা ছিলেন। অন্য পক্ষকে ভিডিওতে দেখা যায়নি। তবে গুলির শব্দ শোনা যায়। এছাড়া ওই পক্ষ থেকেও ককটেল এবং ইট ছুড়ে মারা হয়।

জামিলের বাবা আজহার মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে পড়ত। শাসনগাছা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সড়কে লার্নিং হোম নামের একটি কোচিং সেন্টার চালাত সে। এ ছাড়া শাসনগাছা বাস টার্মিনালে সততা পরিবহনের বাস কাউন্টারেও কাজ করত।

‘বাস টার্মিনালের স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ চলছিল। তবে আমার ছেলে এতে জড়িত ছিল না। অর্ণব জুমার নামাজ পড়ে ঘরে ফিরছিল। দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে সে মাঝখানে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়। ওর বুকে গুলি লাগে। অর্ণবের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না।’

জামিল হাসানের মা ঝর্ণা আক্তার বলেন, ‘আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে অর্ণব সবার বড়। ছেলেটা সংসারের জন্য পরিশ্রম করত। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘শাসনগাছা এলাকার মোল্লাবাড়ি ও মধ্যমপাড়া এলাকার লোকজন বাস টার্মিনালের লেগুনা স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে একজন মারা যান। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর