বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইফতারে ব্যাটারির পানির শরবত পান করে হাসপাতালে চারজন

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার    
  • ১৫ মার্চ, ২০২৪ ১১:০৫

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা জানান, ইফতারে অংশ নেয়া চারজন সামান্য শরবত পানের কিছুক্ষণ পর বুক জ্বালাপোড়া ও বমি করেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা।

কক্সবাজারের উখিয়ায় ইফতারে ফ্রিজে রাখা ব্যাটারির ঠান্ডা পানির শরবত পান করে অসুস্থ চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ভুলবশত ব্যাটারির পানি পানে অসুস্থ চারজন হলেন গয়ালমারা এলাকার নুরুল হাকিম, নুরুল বশর, আব্দুল কাদের ও ইসহাক আহমদ। তাদের সবাই নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশী।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বলেন, উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা স্টেশনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি ইজিবাইক গ্যারেজের মালিক ও কর্মচারীরা ইফতারের আয়োজন করে। সেখানে ভুলবশত ব্যাটারির পানি নিয়ে শরবত বানানো হয়। ইফতারে ওই শরবত তারা পান করেন।

তিনি জানান, ইফতারে অংশ নেয়া চারজন সামান্য শরবত পানের কিছুক্ষণ পর বুক জ্বালাপোড়া ও বমি করেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

অসুস্থ নুরুল হাকিম বলেন, ‘দোকানের মালিক বুধবার রাতে এক শিশু কর্মচারীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইফতারের শরবত বানানোর জন্য এক বোতল পানি পাশের দোকানের ফ্রিজে রাখতে বলেন। এ সময় শিশুটি ইজিবাইক গ্যারেজের ব্যাটারির পানি ভুল করে ফ্রিজে রেখে দেয়।

‘(বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়) ইফতারের আগে শরবত বানানোর জন্য ফ্রিজে রাখা পানির বোতলটি আনা হয়। ঠান্ডা পানির বোতলটিতে লেবু, চিনি ও ট্যাং দিয়ে শরবত বানানো হয়।’

অসুস্থ একজনের স্বজন বলেন, ‘ইফতারের সময় হলে ঠান্ডা বোতলের পানি দিয়ে বানানো শরবত চারজনই পান করেন। প্রত্যেকে কয়েক চুমুক শরবত পান করার পর ভিন্ন স্বাদের মনে হওয়ায় গ্লাসে অর্ধেক শরবত রেখে দেন। এক পর্যায়ে তাদের বুকে জ্বালাপোড়া ও বমি শুরু হলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।’

অসুস্থ ইসহাক আহমদের ভাগনে মিন্টু চৌধুরী বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজনের মধ্যে দুইজনের কিছুটা কম হলেও অপর দুইজনের অবস্থা গুরুতর।’

হাসপাতালের এক চিকিৎসকের ভাষ্য, ‘তারা আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর