গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশু ও নারীসহ ৩৬ জন দগ্ধের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ওই তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মো. সফিকুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে শিশু, নারীসহ ৩৬ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে ৩৪ জন আছেন ঢাকায় আর দুইজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনাটি তদন্ত করতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
‘গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ ও গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন।’
আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এলাকাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে যারা থাকেন, তাদের গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে অভিজ্ঞতা কম। যে কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
‘ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দিয়ে অগ্নি মহড়া দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। এছাড়াও অগ্নিদগ্ধদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে এবং সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।’
সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহাম্মেদ, কালিয়াকৈর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমেরী হোসেন, কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম, মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল আলমসহ অনেকে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, ‘এখানে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেজন্য জনসচেতনতা প্রয়োজন। আইনের কাঠামো থেকে যারা এর ব্যক্তয় ঘটাবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। এখানে যারা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করেন, তাদের ডিলারশিপ ঠিক আছে কি না- সেগুলোও দেখা হবে। এখানে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে।’
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই আগুনে দগ্ধ হন শিশু ও নারীসহ ৩৬ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে পাঁচজন আইসিওতে ভর্তি রয়েছেন।