ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের জিম্মি করা ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার আগে জাহাজটিকে বন্দরে নোঙর করে জলদস্যুরা।
তবে এখনও পর্যন্ত দস্যুদের কেউ জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাদের কোনো দাবি-দাওয়ার বিষয়ে জানা যায়নি।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই জলদস্যুরা বাংলাদেশের বিশেষত জিম্মি করা জাহাজের মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।’
জাহাজের মালিক এসআর শিপিংয়ের মূল প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি আমাদের জাহাজ সোমালিয়ার একটি বন্দরে নোঙর করেছে। তবে এখনও কেউ কোনো দাবি জানায়নি।’
জলদস্যুদের পর্যবেক্ষণকারী লন্ডন ও কুয়ালালামপুরভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি) জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ জাহাজটি গ্যারাকাদ নোঙর এলাকা থেকে ২০ নটিকেল মাইল দূরে নোঙর করে দস্যুরা।
মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ।
যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনের তথ্য অনুযায়ী, জিম্মি করার সময় জাহাজটির অবস্থান ছিল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে ভারত মহাসাগরে।
জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। তিন মাস আগে গ্রুপের বহরে যুক্ত হয় জাহাজটি।
জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ম থাকলেও এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। ফলে বিনা বাধায় জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় দস্যুরা। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের ২৩ নাবিক-ক্রুকে।