বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যৌন হয়রানির অভিযোগে উত্তপ্ত কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

  • প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ   
  • ১৩ মার্চ, ২০২৪ ২১:০৮

অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি আদায় না হওয়ায় বুধবার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝোলান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।

শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব ও তা না মানায় হয়রানির অভিযোগে কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

তবে দাবি আদায় না হওয়ায় বুধবার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝোলান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।

অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র এবং ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহা।

পরে বিকেল পাঁচটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষর্থীদের মাঝে উপস্থিত হন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। শিক্ষার্থীদের তিনি বুঝিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে দোষী শিক্ষক বহিষ্কার করা হবে।’

উপাচার্যের এমন আশ্বাসের পর মহাসড়ক থেকে আন্দোলন সরিয়ে নেয়া হয়। পরে ধীরে ধীরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

তবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে দোষী শিক্ষককে বহিষ্কার করা না হলে লাগাতার কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরতদের কয়েকজন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেয়া ও থিসিস পেপার আটকে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করেন ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় গত ৫ মার্চ কোষাধ্যক্ষ ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু কমিটি গঠনের একদিন পরই মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেট ভাঙচুর চালিয়ে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের সে দাবিও মেনে নিয়ে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক কাগজে ওই দুই শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর