বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শুধুই অনলাইনে, বিক্রি শুরু ২৪ মার্চ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ মার্চ, ২০২৪ ২০:৪৬

রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী জানান, ঈদযাত্রার কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সকালে ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিকেলে বিক্রি হবে। উত্তরাঞ্চলের ট্রেন ছাড়বে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৪ মার্চ ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে। তা চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। আর ফিরতি টিকিট বিক্রি ৩ এপ্রিল শুরু হয়ে চলবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।

ঈদযাত্রা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে বুধবার রেল ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আগে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। তিনি জানান, ঈদের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে।

রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। টিকিট কালোবাজারি রোধে নেয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ।

রেলওয়ের মহাপরিচালক জানান, ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার ৫০০। এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেই শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।

সকাল ৮টায় অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা সময়ে বিক্রি করা হবে। ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন চলতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

তিনি জানান, পূর্বাঞ্চলের টিকিট সকালে ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিকেলে বিক্রি করা হবে। কমলাপুর থেকে চাপ কমাতে দেশের উত্তরাঞ্চলের ট্রেন রাজধানীর বনানীর ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়া হবে। জয়দেবপুর স্টেশন থেকেও কিছু ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। বিশেষ ট্রেনের পাশাপাশি নিয়মিত রুটের ট্রেনগুলোতে কোচের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক বিরতি প্রত্যাহার করা হবে। ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা পূরণে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৫০টি এমজি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৩৬টি বিজি কোচসহ মোট ৮৬টি কোচ যাত্রীবাহী সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ২৪৮টি (পূর্বাঞ্চলে ১৩২ ও পশ্চিমাঞ্চলে ১১৬টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছেঅ

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর জানান, নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা নিশ্চিত করে যাত্রী সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় ডিভিশনাল ও জোনাল কন্ট্রোলে পৃথক মনিটরিং সেল গঠন করে কর্মকর্তাদের ইমার্জেন্সি ডিউটি দেয়া হবে। সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও জংশন স্টেশন এবং সিগন্যাল কেবিনে কর্মকর্তা ও পরিদর্শকদের তদারকির মাধ্যমে ট্রেন অপারেশন পরিচালনা করা হবে।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও ট্রেন সিডিউল অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে রেলপথ পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। রেল সেতুগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা।

মহাপরিচালক জানান, ৩ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর নীলসাগর ও চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের পরিবর্তে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে চলাচল করবে। ওই দুটি ট্রেন বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে না। ঈদের দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কিছু মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তবে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস, মিতালী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন ৭ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। শুধু মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন জলপাইগুড়ি থেকে ১৭ এপ্রিল চলাচল করবে।

ঈদের আগে ৮ এপ্রিল রাত থেকে ঈদের পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্য সব গুডস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর