বাংলাদেশের ৪১টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উদ্ভাবনী পদমর্যাদায় ‘ইনফেকশাস-ডিজিজ’ বিষয়ে প্রথম স্থান, সামগ্রিক র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থান এবং কৃষিবিষয়ক র্যাঙ্কিংয়ে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)।
স্পেনের সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাঙ্কিং ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এ র্যাঙ্কিং প্রকাশ হয়।
এ ছাড়াও ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বায়োকেমিস্ট্রি, জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিষয়ে এবং ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘ইনফেকশাস-ডিজিজ’ বিষয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে সিকৃবি ।
সিলেটের আরেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২১তম স্থান অর্জন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন ও ই-গভর্ন্যান্স কমিটির ফোকাল পয়েন্ট খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেন, ‘সারা বিশ্বে ২০২৪ সালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, সামাজিকতা, স্বাস্থ্য, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয় যাচাই করে এই র্যাঙ্কিং নির্ধারণ করেছে।
সামগ্রিক র্যাঙ্কিংয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সামগ্রিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে পঞ্চম স্থানে।
কৃষি ও জীববিজ্ঞানবিষয়ক অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় স্থান এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে।
কৃষিবিষয়ক র্যাঙ্কিংয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সপ্তম স্থানে।
এ বিষয়ে সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘এই অর্জন সবার। উদ্ভাবন হলো অগ্রগতির প্রাণশক্তি। কৃষি শিক্ষার প্রেক্ষাপটে একটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নের ভবিষ্যৎ গঠনে উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
‘আজকের দ্রুত বিকশিত বিশ্বে কৃষি খাতের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলি বৈচিত্র্যময় এবং জটিল। এই চ্যালেঞ্জগুলিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে আমাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে আমরা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তত্ত্বাবধানে এপিএকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের ইনোভেশন ও ই-গভর্ন্যান্স টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভবনী কার্যক্রম তদারকি করছে। সেবা সহজিকরণ ও ইনোভেশন শোকেসিংয়ের মতো কর্মসূচি তারা হাতে নিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।’