বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাজমুলের মরদেহ ১২ দিন পর বাবার কাঁধে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ মার্চ, ২০২৪ ২১:৪৭

সন্তানহারা বাবা নজরুল ইসলাম আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে আনার পর পরিচয় শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয় এবং আমাদের থেকেও নমুনা নেয়া হয়। ১২ দিনের মাথায় আমাদের সঙ্গে ওই ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়। পরে প্রশাসন আমার বাজানের মরদেহ আমাদের কাছে বুঝিয়ে দেয়।’

রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন কেড়ে নেয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুলকে। আর সন্তানের মরদেহ বাবা বুঝে পেয়েছেন ১২ দিন পর। পরিচয় শনাক্তকরণে ডিএনএ পরীক্ষার বিষয় থাকায় মরদেহ হস্তান্তরে এই বিলম্ব বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নাজমুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের কাছে সন্তানের মরদেহ হস্তান্তর করেন সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক মো. মাসুদ পারভেজ।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডে একটি ভবনে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জন প্রাণ হারান। এরপর একে একে অধিকাংশের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে গতকাল (সোমবার) আমরা বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। আর আজ (মঙ্গলবার) নাজমুল ইসলামের মরদেহ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নাজমুলের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। আর আগুনে প্রাণহানির ১২ দিনের মাথায় নাজমুলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর হয়েছে।’

সন্তানহারা বাবা নজরুল ইসলাম আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নাজমুলকে তখন কোথাও আমরা খুঁজে পাইনি। আমার ছেলের শরীর যেভাবে পুড়েছে তাতে তাকে চেনার উপায় ছিলো না। পুরো শরীর কয়লার মতো হয়ে গিয়েছিল।

‘মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে আনার পর পরিচয় শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয় এবং আমাদের থেকেও নমুনা নেয়া হয়। ১২ দিনের মাথায় আমাদের সঙ্গে ওই ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়। পরে প্রশাসন আমার বাজানের মরদেহ আমাদের কাছে বুঝিয়ে দেয়।’

সন্তানহারা এই বাবা আরও বলেন, ‘নাজমুল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। আমার চার ছেলের মধ্যে ও ছিল দ্বিতীয়। আমাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর থানার নলবুনিয়াকান্দিতে। আজই জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আমার বাজানরে দাফনের ব্যবস্থা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর