বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাইক্ষ্যংছড়িতে পালিয়ে এলো আরও ১৪৬ বিজিপি সদস্য

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ১১ মার্চ, ২০২৪ ২২:২৪

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জামছড়ির ৪৫-৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে সোমবার দুপুরে ২৯ বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। দ্বিতীয় দফায় সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পালিয়ে আসাদের নিয়ে একদিনে ১৭৫ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জের ধরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ১৪৬ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮টার মধ্যে তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে চলে আসেন।

এর আগে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জামছড়ির ৪৫-৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ২৯ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। সে হিসাবে একদিনে ১৭৫ বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সোমবার রাত ৯টায় জানান, সোমবার কয়েক দফায় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৭৫ জন মিয়ানমার বিজিপির সদস্য পালিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে দুপুরে ২৯ জন, সন্ধ্যার পর আরও ১৪৬ জন পালিয়ে এসেছেন। অস্ত্র জমাদানের পর এসব বিজিপি সদস্যকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে নতুন করে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এর আগে জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জামছড়িতে ৪৫-৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ২৯ বিজিপি সদস্য পালিয়ে আসেন। অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে রেখেছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জের ধরে এর আগে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনাসহ ৩৩০ জনকে ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে ২ ফেব্রুয়ারি রাতে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন। তাদের মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য সাবের আহমদকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা

ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ

এদিকে মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জের ধরে ছোঁড়া গুলিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাবের আহমদ আহত হয়েছেন।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সীমান্ত জামছড়ি মসজিদের কাছে লোকজন জড়ো হলে সেখানে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে তিনি আহত হন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর