মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের মধ্যে ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) বেশ কিছু সদস্য।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম সোমবার দুপুরে এক বার্তায় বলেন, ‘বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প হতে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।’
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু, ঘুমধুম ও বাইশফাঁড়ী সীমান্তের বিপরীতে বিজিপির তুমব্রু রাইট ও লেফট ক্যাম্পে আক্রমণ করে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী, পালংখালী এবং টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও শাহপরীরদ্বীপ সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের কাইচিং রং, মইদু, গদুদ্ধজ্য ও মংডু এলাকায়ও গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও বেসামরিক নাগরিকরা প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিকসহ মিয়ানমারের ৩৩০ জনকে বিজিপির কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।