বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কওমি মাদ্রাসায় কার্যক্রম পরিচালনায় বেফাকের সঙ্গে ছাত্রলীগের সাক্ষাৎ

  • প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ৯ মার্চ, ২০২৪ ২০:১৬

এবারই প্রথম ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে এই মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক পদটি যুক্ত করা হয়েছে। এরপর থেকেই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে একের পর এক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন জহিরুলরা।

দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোতে নিজেদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার (বেফাক) নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ছাত্রলীগের মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মাদ্রাসা বিষয়ক উপ-সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রাজিব।

শনিবার বিকেলে বেফাক কার্যালয়ে বেফাকের মহাসচিব উবায়দুর রহমান খান নদভীর সঙ্গে এবং পরে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসায় বেফাকের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছাত্রলীগের প্রতিনিধিরা।

সাক্ষাৎকালে কী কথা হয়েছে- জানতে চাইলে জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মূলত উনাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি। ছাত্রলীগে প্রথমবারের মতো মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক পদ যুক্ত করা এবং আলিয়া মাদ্রাসা নিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের করা কাজ সম্পর্কে উনাদের অবহিত করেছি। আমরা কওমি মাদ্রাসা নিয়েও আরও কাজ করতে চাই বলেও জানিয়েছি।

‘মহাপরিচালক আমাদের কথা শুনেছেন এবং আমাদের সম্মতি ও উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, কওমি মাদ্রাসায় কাজ করার ক্ষেত্রে উনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।’

জহিরুল জানান, এরপর বেফাকের সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান হুজুরের সঙ্গে তারা দেখা করেন। এ সময় হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রলীগ যে মেট্রোরেল ভ্রমণ করিয়েছে এবং বেইমেলায় ঘুরিয়ে বিভিন্ন বই উপহার দিয়েছে- সেসব বিষয়ে উনাকে অবহিত করা হয়েছে।

এসব শুনে উনি খুশি হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তিনি দাওয়াত দিয়েছেন এবং বলেছেন, আামাদের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে উনারা সহযোগিতা করবেন এবং পাশে থাকবেন।’

জহিরুল বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমাদের একটি টিম চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় (আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম) সংক্ষিপ্ত সফরে যায়। সেখান থেকেও আমাদের স্বাগত জানিয়ে আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন তারা। ঈদের পর আমরা কওমি মাদ্রাসা নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করব ইনশাআল্লাহ।’

সাক্ষাতের বিষয়ে বেফাকের মহাসচিব উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, ‘উনারা চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। আমাদের সঙ্গে তাদের সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়েছে।’

তবে বেফাক কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র রাজনীতিকে উৎসাহিত করে না বলে জানান তিনি।

কওমি মাদ্রাসা কেন টার্গেট- জানতে চাইলে ছাত্রলীগের মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক বলেন, কওমি মাদ্রাসায় ২৫ লাখের মতো শিক্ষার্থী আছে। এই অংশটি মূলত শিক্ষাব্যবস্থার মূল ধারা থেকে একটু পিছিয়ে আছে। তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে তাদের আমরা এগিয়ে নিয়ে এসে মূলধারায় সংযুক্ত করতে চাই। এসব শিক্ষার্থীদের আমাদের কাজে যুক্ত করতে চাই। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে নিয়েই আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

এবারই প্রথম ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে এই মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক পদটি যুক্ত করা হয়েছে। এরপর থেকেই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে একের পর এক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন জহিরুলরা।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘আমার বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা প্রতিযোগিতা’, শীতবস্ত্র বিতরণ, মেট্রোরেলে ভ্রমণ করানো, দৃষ্টিজয়ী শিক্ষার্থীদের বইমেলা ঘুরে দেখানো আর সর্বশেষ বিশ্বজয়ী হাফেজ বশিরকে সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে ছাত্রলীগ। এর সবই মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলামের দুরদর্শী চিন্তা এবং সাংগঠনিক কর্মদক্ষতার ফল বলছেন ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টরা।

এ বিভাগের আরো খবর