বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাপা একাংশের চেয়ারম্যান রওশন, মহাসচিব মামুনুর রশীদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৯ মার্চ, ২০২৪ ১৭:৪২

দশম কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠিত কমিটির অন্যরা হলেন- নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং কো-চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রাহগীর আল সাদ মাহি এরশাদ, গোলাম সরোয়ার মিলন ও সুনীল শুভ রায়।

জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদপন্থীদের জাতীয় সম্মেলনে সংগঠনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। আর মহাসচিব করা হয়েছে কাজী মামুনুর রশীদকে।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শনিবার বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একাংশের দশম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে কণ্ঠভোটে দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে। দলটির গঠনতন্ত্রে বেশ কিছু সংশোধনীও আনা হয়েছে।

তিন বছরের জন্য গঠিত এই কমিটির অন্যরা হলেন- নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং কো-চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রাহগীর আল সাদ মাহি এরশাদ, গোলাম সরোয়ার মিলন ও সুনীল শুভ রায়।

কমিটি ঘোষণা শেষে কাজী মামুনুর রশীদ বেগম রওশন এরশাদের পা ছুয়ে সালাম করেন।

কাউন্সিলে বেগম রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন আজ। আমার গড়া প্রাণপ্রিয় সংগঠন জাতীয় পার্টি এরকম একটি ঐতিহাসিক সম্মেলন আয়োজন করতে পেরেছে দেখে আনন্দে আমার হৃদয় ভরে গেছে। আজ এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হলে জাতীয় পার্টি হারিয়ে যেত। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে আমরা হারিয়ে ফেলতাম। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিত।’

এরশাদ-পত্নী বলেন, ‘পল্লীবন্ধু এরশাদ এদেশে যে নতুন ধারার ইতিবাচক রাজনীতির প্রবর্তন করেছিলেন তা হারিয়ে যেতে বসেছিল। এই দশম সম্মেলনের মাধ্যমে এরশাদের নীতি-আদর্শ এবং উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও সংস্কারের রাজনীতি পুনরায় প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের মনে আবার আমরা বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।

‘অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আমরা আজও টিকে আছি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর যখন একটু ঘুরে দাঁড়ালাম তখন আমাদের দলীয় প্রতীক লাঙ্গল নিজেদের আয়ত্তে রাখার জন্য আদালতে দাঁড়াতে হয়েছিল।

‘আদালতের সুবিচারে পল্লীবন্ধু এরশাদ ও আমি লাঙ্গল প্রতীক জাতীয় পার্টির জন্য বরাদ্দ পেয়েছিলাম। সেই লাঙ্গল প্রতীক এখনও জাতীয় পার্টির অনুকূলে আছে এবং আগামীতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।’

রওশন এরশাদ বলেন, ‘সম্মানিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটবৃন্দ, আপনাদের স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই- পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব।

‘অতীতে যারা পার্টি ছেড়ে গেছে তারা কেউ পল্লীবন্ধু এরশাদের নীতি-আদর্শ নিয়ে যায়নি। এমনকি তারা পল্লীবন্ধুর ছবিও সঙ্গে নিয়ে যায়নি। তাই জাতীয় পার্টি কখনও ভেঙেছে তা আমি মনে করি না।’

তিনি বলেন, ‘একদা যেসব নেতা-কর্মী পল্লীবন্ধু এরশাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তাদের সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই- আসুন, আমরা জাতীয় পার্টির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হই। দেশের রাজনীতিতে একটা সুষ্ঠু ধারা বজায় রাখার জন্য জাতীয় পার্টির বিকল্প নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর