কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অচেতন হয়ে পড়া এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ তার পরিবারের সাত সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খাবারে বা ঘরে চেতনানাশক থেকে ওই সাতজন অচেতন হয়ে পড়েন বলে ধারণা করছেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
অচেতন হয়ে পড়া একই পরিবারের সদস্যরা হলেন ভূরুঙ্গামারীর বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, তার মা মজিরন বেওয়া, চেয়ারম্যানের স্ত্রী চায়না বেগম, মেয়ে আঁখি ও তিন বোন শাহেদা, শাহেরা ও ছকিনা বেগম।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভর্তি করা হয় তাদের।
বলদিয়া ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক জানান, সকালের খাবার খেয়ে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বৃহস্পতিবার ভূরুঙ্গামারীতে যান। সেখানে গিয়ে দুপুরের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়ার একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর চেয়ারম্যানকে কুড়িগ্রাম জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার দুপুরে চেয়ারম্যানকে নিয়ে যাওয়া হয় বলদিয়ার গ্রামের বাড়িতে। সে সময় একা হাঁটতে পারেননি। কথা বলতে পারলেও চোখ মেলে তাকাতে পারেননি। বিকেলে তার বাড়ির অন্য সদস্যরা অসুস্থ হওয়ার একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়।
কেদার মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাফিজুর মন্ডল বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি দেখতে যাই। বাড়ির ভেতরে কেউ ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকলে অসুস্থবোধ করে। হয়তো কেউ অসৎ উদ্দেশে চেতনানাশক ছিটিয়েছেন।’
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এএসএম সায়েম বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য শুক্রবারে এ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়। চিকিৎসা দিলেই তারা সুস্থ হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে তাদের খাবারের সঙ্গে কেউ চেতনানাশক মিশিয়ে থাকতে পারে অথবা ঘরে চেতনানাশক ছিটাতে পারে।’
ভূরুঙ্গামারীর কচাকাটা থানার ওসি বিশ্বদেব রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’