বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশিদের স্বার্থ দেখা ছাড়া সরকারের বিকল্প পথ নেই: গয়েশ্বর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৭ মার্চ, ২০২৪ ২৩:৩১

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘১৬ বছর ধরে আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে আছি। আমাদের পাশ থেকে অনেক নেতাকর্মী হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকে গুম-খুনের শিকার হয়েছে। অনেকে না ফেরার দেশে চলে গেছে। তারপরও আমাদের যে চলার গতি, গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনের যে গতি তা থেমে নেই। এটাই সংগ্রাম।’

ক্ষমতায় থাকতে হলে বিদেশিদের স্বার্থ দেখা ছাড়া সরকারের বিকল্প পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

‘৭ই মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে’ শীর্ষক এই আলোচনা যৌথভাবে আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গালাগালি করে কোনো লাভ নেই। কারণ আপনাদের ক্ষমতায় থাকতে হলে আর স্বশরীরে বেঁচে থাকতে হলে বিদেশিদের স্বার্থ চরিতার্থ করার সুগম পথ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা অনায়াসে বলতে বলতে পারব, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফলে শেখ হাসিনা ৯ পার্সেন্টের প্রধানমন্ত্রী। আর আমরা ৯৩ পার্সেন্টের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি। সুতরাং আমরা সংখ্যায় এদেশের মালিকানা দাবি করতে পারি। এজন্য দেশের মালিক আমরা। ওরা (আওয়ামী লীগ) না।’

তিনি বলেন, ‘১৬ বছর ধরে আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে আছি। আমাদের পাশ থেকে অনেক নেতাকর্মী হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকে গুম-খুনের শিকার হয়েছে। অনেকে না ফেরার দেশে চলে গেছে। তারপরও আমাদের যে চলার গতি, গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনের যে গতি তা থেমে নেই। এটাই সংগ্রাম।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বিশ্ব অনেক কথা বলেছে, শুনেছি। গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে ভারতকে বাদ দিতে পারি না। তবে তাদের নিজের দেশে গণতন্ত্র থাকলেও অন্যের দেশে গণতন্ত্র থাকুক, সেটা পছন্দ করে না। আমাদের আশপাশের দেশগুলো নিয়ে এই গণতন্ত্রের ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সার্বভৌমত্ব থাকবেই কেন? আমাদের সেনা ঘাঁটিতে যদি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিস নিয়মিত করা যায়, আসা যায় এবং যাওয়া যায় তাহলে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা থাকবে, এটা ভাবা আর বোকার স্বর্গে বাস করা এক কথা নয়?

‘আমরা বিদেশিদের জায়গা দেই দূতাবাস করার জন্য। কিন্তু কোনো দেশে কি এমন নিয়ম আছে যে বিভিন্ন রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাদের থাকার জন্য জায়গা দিতে হবে?’

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর