বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেহেরপুরে মৌমাছির আক্রমণে অন্তত ২৫ জন আহত

  • প্রতিনিধি, মেহেরপুর (খুলনা)    
  • ৭ মার্চ, ২০২৪ ১৬:০৫

দেবীপুর গ্রামের পল্লি চিকিৎসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মৌমাছির হুলে আহত অনেকেই এসেছে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। ইনশাল্লাহ দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে, তবে মৌমাছির ফোটানো হুল নিয়ে অবহেলা না করে চিকিৎসা নেয়া জরুরি।’

মেহেরপুরে গাংনীতে মৌমাছির আক্রমণে কমপক্ষে ২৫ জন পথচারী আহত হয়েছেন।

উপজেলার বামন্দী-দেবীপুর আঞ্চলিক প্রধান সড়কে বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে থাকা বাবলা গাছে একটি বড় চাকে বাজপাখি ছোবল মারলে মৌমাছি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে উড়তে থাকে। ওই সময় পথচারীদের ওপর আক্রমণ করে হুল ফুটিয়ে দেয় মৌমাছি। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন।

আহত ব্যক্তিরা স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। পথচারীরা খুব আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করছেন।

ডি জে এম সি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক শেখ মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমি বামন্দী থেকে স্কুলের উদ্দেশে আসছিলাম। এ সময় একটি মৌমাছি আমার কানের ভিতরে ঢুকে যায়, কিন্তু হুল ফোটাতে পারেনি।

‘এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে মৌমাছি হুল ফুটিয়ে দেয়। স্থানীয়রা আমাকে ভ্যানে করে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার কানের ভেতরের মৌমাছি বের করে তারপর আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে ২৫ থেকে ৩০টি মৌমাছিতে হুল ফুটিয়েছে।’

উপজেলার কোদাইলকাটি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা পাঁচ থেকে ছয়জন ইট ভাঙার গাড়ি নিয়ে বামন্দী থেকে দেবীপুরের দিকে আসছিলাম। এ সময় রাস্তার পাশে থাকা বাবলা গাছের মৌমাছি আমাদের হুল ফোটাতে থাকে। আমাদের সকলকে হুল ফুটিয়েছে। মৌমাছির হুলে আমাদের শরীরের জ্বর এসে যায়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়েছি।’

মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দেবীপুর গ্রামে ঢুকতেই মৌমাছি হুল ফোটাতে শুরু করে। আমার শরীরে মৌমাছি অনেক হুল ফুটিয়েছে। শরীরে জ্বর এসেছে।’

দেবীপুর গ্রামের ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মৌচাকে বাজপাখি ছোবল দিলে মৌমাছি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে রাস্তা এবং মাঠে যাকে পেয়েছে তাকেই হুল ফুটিয়েছে। প্রতিদিন কেউ না কেউ মৌমাছির হুলে আহত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ৩০ জনকে হুল ফুটিয়ে দিয়েছে।’

পথচারী সোহেল আহমেদ বলেন, ‘কয়েক দিন আগেও মৌমাছির কামড়ে পাঁচ থেকে সাতজন আহত হয়েছে। আমরা চাই গাছটি কেটে ফেলা হোক। গত বছরেও এই গাছেই মৌচাক বসেছিল। গত বছরে একই দিনে ৪০ জন মৌমাছির হুলে আহত হয়েছিল।’

দেবীপুর গ্রামের পল্লি চিকিৎসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মৌমাছির হুলে আহত অনেকেই এসেছে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। ইনশাল্লাহ দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে, তবে মৌমাছির ফোটানো হুল নিয়ে অবহেলা না করে চিকিৎসা নেয়া জরুরি।

‘মৌমাছির হুলে আহত হয়ে এক সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ জন এসেছে। বৃহস্পতিবার আমার কাছে আট থেকে দশজন এসেছে। আর অন্যরা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নেয়।’

তিনি আরও বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ৩০ থেকে ৪০ জন পথচারীকে মৌমাছি হুল ফুটিয়ে আহত করেছিল।

এ বিষয়ে বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুর রহমান কমল বলেন, ‘বামন্দী-দেবীপুর সড়কে মৌমাছির হুলে আহত হয়েছে শুনেছি। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ৪০ জনকে হুল ফুটিয়ে আহত করেছিল একই গাছে বসা মৌমাছি।’

এ বিভাগের আরো খবর