বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাওরে বাঁধ নির্মাণকাজে দেরি: তিন পিআইসির সভাপতিকে শোকজ

  • প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ   
  • ৭ মার্চ, ২০২৪ ১১:০৩

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল বলেন, ‘সময়মতো কাজ শেষ না করায় ৮, ১১, ১৪ নম্বর প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে শোকজ করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) জবাব দেয়ার শেষ সময়। এবার ৩৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে চার কোটি টাকা ব্যয়ে এ উপজেলার ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ হচ্ছে। আমরা মাঠে তদারকিতে আছি।’

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারকাজ শেষ না হওয়ায় ৮, ১১ ও ১৪ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসির) তিন সভাপতিকে বুধবার কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়েছে।

জগন্নাথপুরে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দ্বিতীয় দফায় বর্ধিত সময় শেষ হয় বুধবার। এ সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ করতে না পারায় তিন পিআইসির সভাপতিকে শোকজ দেয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি প্রকল্পে এখনও মাটি ফেলার কাজ বাকি রয়েছে। আবার কিছু প্রকল্পে শেষ মুহূর্তের কাজ ঘাস লাগানো ও ড্রেসিং চলছে।

জেলার অন্যতম বৃহৎ নলুয়ার হাওরের ৮, ১১ ও ১৪ নম্বর প্রকল্পে এখনও অনেক জায়গায় মাটি পড়েনি। মাটির কাজ শেষ করতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। বৃষ্টি হলে কাজ আরও পিছিয়ে যাবে।

৯ ও ১০ নম্বর প্রকল্পে মাটি কাটার কাজ শেষ হলেও ড্রেসিংসহ আনুষঙ্গিক কাজ এখনও বাকি আছে।

৮ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি সুজাত মিয়া বলেন, ‘মাটি কাটার যন্ত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া ও বৃষ্টির কারণে কিছুদিন কাজে ব্যঘাত ঘটে। বর্তমানে জোরেশোরে কাজ চলছে। দুই-এক দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।’

১১ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি মফিজ আলী বলেন, ‘আমার প্রকল্পের মাটির কাজ আজ শেষ হয়ে যাবে। ড্রেসিং ও ঘাস লাগানোর কাজ চলবে। ১৪ নম্বর প্রকল্পে এখনও অনেক জায়গায় মাটি পড়েনি।’

প্রকল্পের সদস্য চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য বাবুল মাহমুদ বলেন, ‘১৪ নম্বর প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ঝুঁকিপূর্ণ অংশে মাটির কাজ শেষ।’

এ বিষয়ে হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ শেষ করার নিয়ম থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৬ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়, তবে বর্ধিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়াটা দুঃখজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাওরে এখনও ২০ প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। তাই আগাম বন্যার ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত আমরা।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল বলেন, ‘সময়মতো কাজ শেষ না করায় ৮, ১১, ১৪ নম্বর প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে শোকজ করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) জবাব দেয়ার শেষ সময়। এবার ৩৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে চার কোটি টাকা ব্যয়ে এ উপজেলার ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ হচ্ছে। আমরা মাঠে তদারকিতে আছি।’

নলুয়া হাওর পরিদর্শন শেষে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘নলুয়া হাওরের এক থেকে ১৪ নম্বর প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে ৮, ১১ ও ১৪ নম্বর প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি, তবে আগামী শুক্রবারের মধ্যে হয়তো শেষ হয়ে যাবে। অপর প্রকল্পের কাজ সন্তোষজনক।’

তিনি আরও বলেন, জগন্নাথপুরে এর মধ্যে বাঁধের কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।

বাঁধের কাজে আর কোনো সময় বাড়ানো হবে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে ইউএনও বলেন, ‘এ বিষয়ে জেলা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’

এ বিভাগের আরো খবর