চট্টগ্রামে কর্ণফুলী থানার ইছানগরে এস আলম সুগার মিলে লাগা আগুন ৫৪ ঘণ্টার চেষ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। বুধবার রাত ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই চিনি কারখানায় আগুন জ্বলছিল। কবে নাগাদ আগুন নেভানো সম্ভব হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস।
রোববার বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটের দিকে এস আলম সুগার রিফাইন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় আগুন লাগে। এতে কারখানার গোডাউনে রাখা চিনির কাঁচামাল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে প্রায় এক লাখ টন ‘র’ চিনি পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছে এস আলম গ্রুপ।
বুধবার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুণ পাশা বলেন, ‘যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুটের গুদামটির উচ্চতা ৫ থেকে ৬ তলা ভবনের সমান।
‘কারখানা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই গুদামে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনির মজুত ছিল। এগুলো এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। পানি দিয়েও এ আগুন নেভানো যাচ্ছে না। এ কারণে আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়াটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কবে নাগাদ আগুন নেভানো যাবে তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। আমাদের ১০টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে।
কোম্পানির জিএম আকতার হাসান বলেন, ‘রমজান মাস সামনে রেখে মিলের চারটি গুদামে মোট চার লাখ টন অপরিশোধিত চিনি মজুদ করা হয়েছিল। পরিশোধনের পর ওই চিনি বাজারে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে ১ নম্বর গুদামের এক লাখ টন চিনি পুড়ে গেছে।’
কারখানার কর্মকর্তারা জানান, ‘সেখানে পাঁচটি গুদাম রয়েছে। প্রতিটি গুদামের ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার টন।
আগুন লাগার সময়ও কারখানা চালু ছিল। কারখানাটিতে প্রায় সাড়ে ৫০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। বর্তমানে কারখানায় চিনি উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে সোমবার রাতেই ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার রাতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক ও ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা এই কমিটি গঠন করেছেন।