বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর আক্রোশের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
হাফিজ উদ্দিনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বুধবার তার বাসায় গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, ‘এটা কারও অজানা নয় যে মেজর হাফিজ মিথ্যা প্রলোভনে নতি স্বীকার করেননি। নানামুখী চাপ এবং পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তাকে সরকারি দলে যোগ দেয়ার একটা ছলনা সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু সেই ছলনায় তিনি ভোলেননি।
‘অনেকে বলেন, সরকারের সেই আক্রোশও রয়েছে মেজর হাফিজের ওপর। তারই বহিঃপ্রকাশ গতকাল (মঙ্গলবার) ঘটে থাকতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এসব আজ আর গোপনীয় বিষয় নয়। বাংলাদেশের মানুষ সব কিছু জানে, সব কিছু বোঝে। সরকার যে কাজগুলো করছে এবং বীর বিক্রম মেজর হাফিজকে কারারুদ্ধ করেছে, এর চেয়ে নিন্দাজনক বিষয় আর কিছু হতে পারে না।’
বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘অর্থনীতি, সমাজ ব্যবস্থা, প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা, সংসদ, নির্বাচন কমিশন- সব কিছু প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।
‘পশ্চিমা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, এমনকি জাতিসংঘ পর্যন্ত বলেছে যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নেই।
‘আর বিএনপি তো তাদেরকে এসব কথা শিখিয়ে দেয়নি। আর তারা যদি বিএনপির কথার প্রতিধ্বনি করে থাকে, তাহলে তো বুঝতে হবে যে বিএনপি সত্য কথা বলে, পৃথিবীর সবাই বিএনপির কথায় ওঠে-বসে।’
মঙ্গন খান বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য কোথায় নামতে পারে তার প্রমাণ গতকাল (মঙ্গলবার) হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সেনানী বীর বিক্রম মেজর হাফিজকে তারা মিথ্যা একটি মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করেছে। আমরা পর্দার অন্তরালের অনেক কথা শুনেছিলাম। ৭ জানুয়ারির আগে সরকার বিএনপি দলটিকে ভেঙে চুরমার করে দিয়ে দলের সদস্যদের লোভ-লালসা দেখিয়ে নিজেদের দলে যোগদানে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেছে। মেজর হাফিজ যাতে সরকারি দলে যোগ দেন সেজন্য একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে।’