অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও চার লেন সড়কের কাজের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মহাসড়কের টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) হতে এলেঙ্গা পর্যন্ত বুধবার ভোর থেকে প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। যান নিরসনে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা ও বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন কাজ করে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সকালে দেখা যায়, মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) টোলপ্লাজা পর্যন্ত দুই লেনেই দীর্ঘ এলাকাজুড়ে যানবাহন আটকে আছে, তবে এলেঙ্গা হতে ঢাকাগামী লেনে তেমন পরিবহন নেই।
এ যানজটের কারণে উত্তরবঙ্গগামী এবং ঢাকাগামী পরিবহনগুলো এলেঙ্গা হতে ভূঞাপুর-তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে সেতু গোলচত্বর হয়ে চলাচল করে।
কাঁচামালবাহী ট্রাকচালক কুদ্দুস হোসেন বলেন, সেতু পশ্চিমে টোল দিয়ে এসেই কাঁচামাল নিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে সেতু পূর্ব গোলচত্বর এলাকায় আটকে আছি। যথাসময়ে আড়তে কাঁচামাল পৌঁছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্য দিনের তুলনায় আজকে কয়েকগুণ গাড়ির চাপ বেশি।
গাবতলী থেকে আসা রংপুরগামী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী হাসান আলী, রত্না বেগমসহ অনেকে বলেন, দীর্ঘসময় ধরে যানজটের কবলে পড়েছেন তারা। প্রায়ই এলেঙ্গার দিকে যানজটের শিকার হতে হয়। সড়কে এলোমেলো গাড়ি চালানো ও চার লেনের কাজ করার কারণে এমন যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাজেদুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেশি সেইসঙ্গে এলেঙ্গা হতে সেতুর পূর্ব পর্যন্ত দুইলেনে সড়কে পরিবহনের ধীরগতি হলেই ট্রাক চালকরা ঘুমিয়ে যায়। অনেক সময় ভোরের দিকে এক গাড়ির চালক ঘুমের চোখে আরেক গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে গাড়িও মাঝে মাঝে বিকল হয়ে যায়, সেগুলো সড়াতেও সময় লাগে। এতে পেছনের গাড়িগুলো মনে করে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত চার লেন সড়কের কাজ চলছে। যার কারণে যানজট আরও লেগে যায়। যানবাহন ধীরগতিতে চলে, তবে যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে। এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ আরও কমে আসবে বলে জানান তিনি।