চট্টগ্রামে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের আগুন ২৪ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল। তবে আগুনে গুদাম পুড়লেও রক্ষা পেয়েছে পাশাপাশি অবস্থিত মূল কারখানা।
এদিকে আগুনে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি পুড়ে গেলেও তা বাজারে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, ‘আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে আগুন থেকে মূল কারখানা রক্ষা করা গেছে। তারপরও একটি গুদামে থাকা অপরিশোধিত চিনি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগুন পুরোপুরি নিভতে সময় লাগবে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট কাজ করছে। গুদামটির চারপাশ থেকে পানি দেয়া হচ্ছে, টিন খুলে ফেলা হচ্ছে।’
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. হোসেন বলেন, ‘একই স্থানে আমাদের মোট ছয়টি গুদাম আছে। সোমবার এক নম্বর গুদামে আগুন লাগে। এ গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল যার সবই পুড়ে গেছে। এখনও আগুন জ্বলছে। গুদামটির সঙ্গে লাগোয়া ছিল মূল কারখানা। তবে কারখানাটি রক্ষা পেয়েছে। আগুন লাগার পর থেকে কারখানা বন্ধ রয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে পুড়ে যাওয়া গুদাম দেখতে আসেন এস আলম গ্রুপের জিএম (কমার্শিয়াল) মো. আকতার হাসান।
তিনি বলেন, ‘কীভাবে কারখানায় আগুন লাগল এবং ক্ষয়ক্ষতি কতটুকু হয়েছে, তা এখনই আমরা বলতে পারছি না। তবে এটা নিশ্চিত করতে পারি, চিনির বাজারে এ ঘটনার প্রভাব পড়বে না। আমাদের এখনও ১০-১৫ দিনের মত ফিনিশড (পরিশোধিত) চিনি হাতে আছে।’
আকতার হাসান বলেন, ‘দুয়েক দিনের মধ্যে আমরা আবার বাজারে ফিরে আসব। আমাদের পাইপলাইনে ৬-৭ লাখ টন চিনি আছে। শুধু একটি গোডাউন পুড়েছে। আরো চারটি গোডাউন আছে।’
সোমবার বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের একটি গুদামে আগুন লাগে। পবিত্র রমজান মাস ঘিরে বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানি করেছিল। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত মিলে এক লাখ মেট্রিক টনের মতো চিনি রাখা ছিল ওই গুদামে যা পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।