অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে কেউ বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করলে তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর তৃতীয় দিনে মুক্তিযুদ্ধ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিসিরা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছেন এবং আমাদের আইন সচিব সেসব প্রশ্নের জবাবে দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘যেসব মাল জব্দ করা হয় সেসবের নিষ্পত্তির বিষয়ে কী করা উচিত এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে। আমরা ই-জুডিশিয়ালের কথা বলেছি। সেখানে কতটুকু সুবিধা হবে সে কথা বলেছি।’
‘আমি আমার বক্তব্যের প্রথমে ডিসিদের কাছে মামলা জটের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। বলেছি, মামলা জট নিরসনের জন্য তারা যেন সহযোগিতা করেন।’
আনিসুল হক বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের বিরুদ্ধে একটা মামলা আছে। সেটা নিষ্পত্তির জন্য আমরা ত্বরিত পদক্ষেপ নেব।
‘অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে কেউ যদি মামলা করে তখন হাইকোর্ট আবেদন নিষ্পত্তির জন্য একটা আদেশ দেয়। সেক্ষেত্রে অনেক সময় জটিলতা দেখা দেয়। হাইকোর্টের আদেশ না বুঝে অনেক দেরি করা হয়। সে বিষয়ে স্পষ্টীকরণ করা হয়েছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আমি বলেছি- আবেদনটি ডিসপোজ করা বা সম্ভব হলে গ্রহণ করা। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে একটা জবাব দিয়ে ব্যাপারটি নিষ্পত্তি করে দেয়া। সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু ছিল না।
‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলার বিষয়টি আমি নিজেই তুলেছিলাম এবং বলেছি, আমরা একটা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু নিষ্পত্তি চাই।
বাজার ব্যবস্থা যদি কেউ অস্থিতিশীল করে বা পণ্য মজুদ করে তাহলে তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন- সে বিষয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এরকম কাজ করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বার বার অগ্নিকাণ্ড ঘটার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত শেষ হয়ে যদি আদালতের কাছে প্রতিবেদন আসে এবং সেখানে যদি মামলা শুরু করা হয়, তা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আমাদের প্রসিকিউশনকে যে নির্দেশনা দেয়া দরকার সেটি দেয়া হবে।’