সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় আটক শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি পিস্তলই অবৈধ।
সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিরাজগঞ্জ সদর ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম ওই অস্ত্র দুটি নিয়ে তথ্য দিয়েছেন।
তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করার ঘটনায় এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় আটক করা হয় রায়াহান শরীফকে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ এনে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষক রায়হান শরীফের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি আগ্নেয়াস্ত্র অবৈধ। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়াও অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হবে।
সোমবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এ ঘটনায় এই শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। রায়হান শরীফ কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক।
আটকের পর শিক্ষক রায়হান শরীফ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেন, ফোন করে রোববার তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ডেকেছিলেন। কিন্ত শিক্ষার্থীরা তার নির্দেশমতো ক্লাসে উপস্থিত হননি। মৌখিক পরীক্ষা চলার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে ক্লাসে অনুপস্থিতির বিষয়ে কৈফিয়ত চান। এরই এক পর্যায়ে গুলি ছোড়েন তিনি।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবে। মঙ্গলবার দুপুরে এই তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা সিরাজগঞ্জ নলকা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন।