বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভেতরে দাহ্য পদার্থ, এস আলম সুগার মিল পুড়ছে এখনও

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ৫ মার্চ, ২০২৪ ১৩:০১

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এখনও আগুন জ্বলছে। তবে তীব্রতা কমে এসেছে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের গুদামে লাগা আগুন এখনও নেভেনি। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ভেতরের আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মিলের ১ নম্বর গুদামে এ আগুন লাগে। ওই গুদামে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এখনও আগুন জ্বলছে। তবে তীব্রতা কমে এসেছে।

জানা গেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট শুরু থেকে কাজ করছিল। সকালে আরও দুটি ইউনিট যুক্ত করা হয়েছে।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত জানান, এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের আগুন নির্বাপণকাজে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্য, নৌবাহিনীর ১২ সদস্যের দুটি টিম, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য সহযোগিতা করছেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, রাত সাড়ে ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু কারখানার ভেতর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আমরা আগুন নির্বাপণে কাজ করছি।

এস আলম সুগার মিলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হাসমত আলী জানান, কারখানার পুরো প্রসেস এবং কারখানা নিরাপদ রয়েছে। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য গোডাউন থেকে কারখানার মুল প্ল্যান্টের আসার বেল্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।

এদিকে ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক ও ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা।

এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, ‘গোডাউনে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এক লাখ টন চিনির কাঁচামাল ছিল। এর পুরোটাই পুড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করছি।’

এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার প্লান্টের সহকারী ফিটার মনির বলেন, ‘ওই গুদামে প্রায় এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো পুড়ে গেছে। কাছেই পরিশোধিত চিনি আছে আরও কয়েক লাখ টন।’

সূত্র জানায়, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলসের দুটি প্লান্টে পরিশোধন করা হয়। এর মধ্যে প্লান্ট-১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন এবং প্লান্ট-২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড এবং ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর