বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারে সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ মার্চ, ২০২৪ ২২:৩৫

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যায় তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের ভূখণ্ড কোনো ধরনের বিদ্রোহের জন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত সে দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের কাজ খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।’

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের নিযুক্ত আইনজীবী অধ্যাপক পায়াম আখাভান সোমবার সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে। মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে।’

‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যায় তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের ভূখণ্ড কোনো ধরনের বিদ্রোহের জন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশ এই নীতিতে বিশ্বাস করে এবং ভবিষ্যতেও কাউকে তা করতে দেবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে অস্ত্র, নারী ও মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

‘রোহিঙ্গা যুবকদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার জন্য সরকার ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে এবং এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

ড. পায়াম আখাভান প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারও ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বাংলাদেশ কপ-১৫ এর পর জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে।

‘উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর সুরক্ষায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলাসহ বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’

জলবায়ু ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতে রাষ্ট্রগুলোর বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামতের জন্য আইসিজে-তে বাংলাদেশের আইনি উপস্থাপনের প্রস্তুতিতে সহায়তা করায় অধ্যাপক পায়াম আখাভানকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর