বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৪ মার্চ, ২০২৪ ১৮:৫৪

টুইন পিক ভবনের ডেভেলপার কর্তৃপক্ষের লজিস্টিক ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শুধু এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। তারপর ভবন মালিকদের এটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। ভবনের মালিক বেশ কয়েকজন। তারা নিজেদের মতো করে রেস্তোরাঁ ভাড়া দিয়েছেন।’

নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে পেয়ে অভিযানে গিয়ে ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এছাড়া ভবনটির একটি রেস্তোরাঁকে জরিমানা ও আরেকটি রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

সোমবার সকালে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ভবনে অভিযান চালায়।

অভিযান চলাকালে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার।

তিনি বলেন, ‘এই ভবনটি এফ-১ ক্যাটাগরিতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই ক্যাটাগরি অনুসারে ভবনটি শুধু অফিস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অথচ এখানে অবৈধভাবে প্রায় ১২ থেকে ১৫টি রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওষুধ ও কাপড়ের দোকান পেয়েছি।

‘পরিদর্শনকালে মাত্র দুই ফ্লোরের কিছু অংশ অফিস হিসেবে বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি দেখেছি। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’

গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দেয়া হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা

এক প্রশ্নের জবাবে তাজিনা সারোয়ার বলেন, ‘রাজউক ছাড়াও সিটি করপোরেশন কিংবা কলকারখানা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের বিষয়টি অবগত করব। যারা নিয়মের বাইরে এসব করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়।’

এ সময় ভবনটির নবম তলার ‘স্পাইস অ্যান্ড হার্বস’ রেস্তোরাঁকে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ভবনের ছাদে ‘রেট্রো লাইভ কিচেন’ রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

যেসব ভবন সিলগালা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেগুলোর আদেশ ঢাকা জেলা প্রশাসনে বরাবর পাঠানো হবে। তারা পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেবে বলে অভিযান থেকে জানানো হয়।

এ সময় ম্যানেজার বা মালিক উপস্থিত না থাকায় ভবনটির দশ তলা পর্যন্ত কোনো রেস্তোরাঁকে জরিমানা করতে পারেনি রাজউকের দলটি।

টুইন পিক ভবনের ডেভেলপার কর্তৃপক্ষের লজিস্টিক ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, স্থপতি যেভাবে ভবন নকশা করেছেন, সেভাবেই চলছে। তারা বাণিজ্যিক হিসেবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে রেস্তোরাঁর অনুমোদন নিয়েছেন।

রুফটপের রেট্রো লাইভ কিচেন নামের রেস্তোরাঁটি ভেঙে ফেলছে রাজউক। ছবি: ফোকাস বাংলা

তিনি জানান, তবে সেখানে রাজউকের নকশার শর্ত ছিল। রাজউক এফ-১-এর অনুমোদন দেয়। সারা ঢাকায় এফ১ হলেও রেস্তোরাঁ করা যায়, সেটা স্থপতিই বলেছেন বলে জানান তিনি।

শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শুধু এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। তারপর ভবন মালিকদের এটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। ভবনের মালিক বেশ কয়েকজন। তারা নিজেদের মতো করে রেস্তোরাঁ ভাড়া দিয়েছেন।’

এর আগে, রোববার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযানে রেস্তোরাঁগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে কি না বা যথাযথ অনুমতি আছে কি না- সেগুলা দেখা হয়। অভিযানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অনিয়ম থাকার কারণে মোট ৩৫ জনকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ভবনে একটি তলা ছাড়া বাকি সবক’টি তলায় রেস্তোরাঁ ছিল।

ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না বলেছে ফায়ার সার্ভিস। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনবার চিঠি দেয়া হয়েছিল ভবন কর্তৃপক্ষকে; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর