বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রক্টরের অপসারণসহ ৫ দফা দাবি জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

  • প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ৩ মার্চ, ২০২৪ ১৬:০৬

জাবির দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী তার মেধার পরিচয় দিয়ে ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখানে পড়াশোনা করতে আসেন। আমরা যদি মাদকব্যবস্থার মূলোৎপাটন করতে না পারি তাহলে একের পর এক মেধাবী শিক্ষক বা শিক্ষার্থী ধর্ষক বা নিপীড়ক হয়ে ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নেবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ উল হাসান এবং মীর মশাররফ হোসেন হল ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রভোস্টদের দায়িত্ব থেকে অপসারণসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে রোববার দুপুর ২টার দিকে মানববন্ধন করেন তারা।

নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের দাবিগুলো হলো

গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল থেকে বের করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আসন নিশ্চিত করা এবং র‍্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করা এবং তদন্ত চলাকালীন প্রশাসনিক পদ থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা, মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘মাদকের কারণেই জনিদের জন্ম হয়। মাদকের কারণেই মোস্তাফিজদের জন্ম হয়েছে। এ জন্য ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত করতে হবে।

একজন শিক্ষার্থী তার মেধার পরিচয় দিয়ে ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখানে পড়াশোনা করতে আসেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মাদকব্যবস্থার মূলোৎপাটন করতে না পারি তাহলে একের পর এক মেধাবী শিক্ষক বা শিক্ষার্থী ধর্ষক বা নিপীড়ক হয়ে ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নেবে। আর এসব দায় দায় প্রশাসন কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।’

এসব বক্তব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে না নিয়ে সচেতনতার সঙ্গে গ্রহণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানান তিনি।

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম বলেন, ‘আজকে ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। আশা করব দ্রুত প্রতিবেদনে উল্লিখিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবে প্রশাসন। ইতোমধ্যে আমাদের একটি দাবি সফল হয়েছে। আমাদের আরও চারটি দাবি রয়েছে। সেগুলোও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলেই বিবেচনা করে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। আমরা একটি নৈতিক অবস্থান থেকে আন্দোলন করছি।

‘বিশ্ববিদ্যালয় যেন মনে না করে আমরা গুটিকয়েক মানুষ আন্দোলন করছি। আমরা এখানে গুটিকয়েক মানুষ থাকলেও ক্যাম্পাসের সর্বস্তরের মানুষের নৈতিক সমর্থন আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমরা এই নৈতিক সমর্থনের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি এবং সামনে আরও এগিয়ে যাব।’

নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের একটি অংশ সফল হয়েছে। আমরা জানি একজন শিক্ষক নৈতিক অবক্ষয়জনিত কাজে লিপ্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের বিরুদ্ধে এতগুলো নৈতিক অবক্ষয়জনিত কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না।’

এ বিভাগের আরো খবর