জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘এনআইডির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। এটা এখন অপরিহার্য। সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে সংকট দেখা যায়- এদের সংখ্যা খু্ব বেশি নয়। যারা অতি চালাক তারা একাধিক কার্ড করে ফেলেন। তবে এনআইডি এখন অনেকটাই সুষ্ঠু অবস্থায় এসে পৌঁছেছে।’
জাতীয় পরিচয়পত্র করতে গিয়ে কেউ কেউ প্রতারণার আশ্রয় নেয়। এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেন সিইসি।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীদের বলব, সতর্কতার সঙ্গে কাজ করবেন। প্রতারণার জন্যে, বিশেষ করে, জায়গা-জমি বেহাত করার জন্য অবৈধভাবে যে এনআইডি করা হয়, তা কেউ যদি করে থাকে, তাতে আমাদের কারও যেন কমপ্লিসিটি (কুকর্মে সহায়তা) না থাকে।
‘বিভ্রান্ত হয়ে, ভুল করে দিতে পারেন, কিন্তু সচেতনভাবে অপরাধ কাজের জন্য কেউ যদি করে, তাহলে আমাদের ট্রলারেন্স জিরো হবে। আমরা ওই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে হস্তান্তর করব।’
‘সঠিক তথ্যে ভোটার হব, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব’- প্রতিপাদ্য নিয়ে ভোটার দিবস পালন করছে ইসি। এ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিবসহ নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘ভোটার দিবসের একটা বড় লক্ষ্য হওয়া উচিত- ভোটারদের উজ্জীবিত করা। তারা যেন বৃদ্ধিমত্তার সঙ্গে স্বাধীনভাবে মতামত ব্যক্ত করতে পারেন ব্যালটের মাধ্যমে। তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করতে পারেন, তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে পারেন; এটাই মুখ্য।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটে অনাগ্রহী হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। অনেকে মনে করেন- ভোট দিয়ে কী হবে, ভোট সঠিকভাবে দিতে পারবেন কিনা। ভোট নিয়ে যে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, তা কাটিয়ে ওঠার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু টোটাল যে জিনিসটা- একটি বড় দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। যার ফলে বেশ কিছু লোক যারা ভোটার ছিলেন, স্বাভাবিকভাবে হয়তবা তারা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন না; তারা ভোট দিতে আসেননি। এটা হয়ে থাকতে পারে।’