গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পৃথক পৃথক এলাকায় অতিরিক্ত মদ্যপান, আত্মহত্যা ও ট্রেনে কাটা পড়ে চার যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকালে নিহত তিনজনের মরদেহ মর্গে ও একজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার পূর্ব বালিঘাটা এলাকার ৪২ বছর বয়সী হেলাল উদ্দিন, দিনাজপুরের বিরামপুর থানার ঘরেরপাড় শিমুতলী এলাকার ২৮ বছর বয়সী কাদেরুল, নীলফামারীর সদর উপজেলার দুংড়া এলাকার ২৬ বছর বয়সী গোলাম রাব্বানী ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার গোসাত্রা এলাকার ২২ বছর বয়সী সুমন রাজবংশী।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন আগে জীবিকার খোঁজে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আসেন হেলাল ও কাদেরুল। উপজেলার পূর্বচান্দরা এলাকার দুলাল উদ্দিন সরকারের বাড়ির দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন তারা। সেখানে হেলাল কসাই ও কাদেরুল স্থানীয় একটি বেকারির শ্রমিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।
শুক্রবার রাতে চোলাই মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন হেলাল ও কাদেরুল। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাদের ওই রাতেই টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
পরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশ নিহতদের মরদেহ নিয়ে যায়।
ওই হাসপাতালের ডিজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক লিটন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তারা রাস্তাতেই মারা গিয়েছিল।’
মির্জাপুর থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, ‘নিহত হেলাল ও কাদেরুলের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবেদন তৈরির পর মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।’
এদিকে কালিয়াকৈর উপজেলার গোসাত্রা এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে শুক্রবার রাতে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন সুমন নামের এক যুবক।
খবর পেয়ে শনিবার সকালে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
অপরদিকে উপজেলার রতনপুর এলাকায় রাজশাহী-জয়দেবপুর রেললাইনে শনিবার সকালে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান রাব্বানী। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম জানান, নিহত হেলাল ও কাদেরুলের মরদেহ উদ্ধার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এসব ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে পুলিশ ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত রাব্বানীর মরদেহ নিয়ে গেছে। আর আবেদনের প্রেক্ষিতে সুমনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’