বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিএনএ টেস্টের জন্য অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির মরদেহ বার্ন থেকে ঢামেকে

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২৪ ১৮:৩২

রমনা থানার ওসি বলেন, ‘রমনা কালীমন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিসেবে মেয়েটির মরদেহের সৎকার করার জন্য। তবে মেয়েটির দুটি নাম নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তাই ডিএনএ টেস্টের পরই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’

নাম-পরিচয় জটিলতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মর্গে পড়ে আছে রাজধানীর বেইলী রোডের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো নারী সাংবাদিকের মরদেহ। বৃষ্টি খাতুন নাকি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী- এ নিয়ে ধোঁয়াশা না কাটায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি।

ডিএনএ পরীক্ষার পর অভিভাবকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এ অবস্থায় মরদেহ নিতে এসে বিপাকে পড়েছেন তার বাবা সাবুরুর আলম সবুজ।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই নারী সাংবাদিকের আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায়।

এদিকে অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে বাবা-মা সম্পর্কে নানা তথ্য দেয়া থাকলেও স্থায়ী ঠিকানা সব জায়গায় একই উল্লেখ করা আছে।

সবুজ বলেন, ‘আমার মেয়ের আসল নাম মোছা. বৃষ্টি খাতুন। সে লেখালেখিতে অভিশ্রুতি নাম ব্যবহার করতে চেয়েছিলো। কিন্তু সে আমারই মেয়ে।’

বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ নিউজবাংলাকে জানায়, ‘বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারানোদের মধ্যে একটি মরদেহই এখানে মর্গে ছিল। সেটি পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া মেয়েটির। মরদেহ ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

এদিকে রমনা কালীমন্দিরের পক্ষ থেকে রমনা থানায় মেয়েটিকে সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী সৎকার করার আবেদন করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন রমনা থানার ওসি।

তিনি বলেন ‘রমনা কালীমন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিসেবে মেয়েটির মরদেহের সৎকার করার জন্য। কারণ তারা তাকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামেই চেনেন।

‘কিন্তু মেয়েটির দুটি নাম নিয়ে জটিলতা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা ডিএনএ টেস্ট করবো। পরিচয় মিললে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’

ওসি বলেন, ‘মন্দির কর্তৃপক্ষের কেউ ডিএনএ টেস্ট করার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এটা আমরা করবো।’

প্রসঙ্গত, নিহত নারী সাংবাদিকের নাম-পরিচয় নিয়ে বিভ্রাট সৃষ্টির বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার নিউজবাংলায় ‘অভিশ্রুতি নাকি বৃষ্টি, মারা যাওয়া মেয়েটি আসলে কে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।

এ বিভাগের আরো খবর