নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার একটি বাড়িতে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
উপজেলার লেজারার্স আবাসিক এলাকায় কাউসারের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আরও একজন আহত হন, যাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হত্যার ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রাণ হারানো দীপালি রানি দাসের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি পরিবার নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থেকে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
দীপালির মেয়ে পলি রানি জানান, তার মা দীপালির সঙ্গে প্রায়ই পাশের বাড়ির কেয়ারটেকার ফরিদার ঝগড়া হতো। রান্না করা নিয়ে ফরিদার সঙ্গে বুধবারও তার মায়ের ঝগড়া হয়। রাতে তারা ঘরের দরজা খোলা রেখে আত্মীয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে যান।
তিনি আরও জানান, সকালে তার বোন পলি ঘরে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মা ও বাবাকে চিৎকার দেন। তখন প্রতিবেশীরা এসে আহত শ্যামাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত শ্যামা তার মেয়ে পলি রানীর কাছে সেই দিনের ঘটনার বিস্তারিত জানান।
শ্যামা বলেন, ফরিদা শুরুতে তার ঘরে লাউড স্পিকারে গান বাজান। পরে শ্যামাদের ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রথমে তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাকে ছুরিকাঘাতে আহত করে পালিয়ে যান ফরিদা।
দীপালির আরেক মেয়ে মলি রানি বলেন, ‘ভাড়া বাড়ির কেয়ারটেকার ফরিদা গতকাল (বৃহস্পতিবার) ভাত রান্না করতে রান্নাঘরে যায়। তখন মা চা বানাতে যায়। এ সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
‘আমার মা অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে। আর বাবা মুচি। তাই সময়মতো ভাড়া দিতে পারেনি। এর আগে ঘর ভাড়ার টাকা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ফরিদার একাধিকবার ঝগড়া হয়েছে। ঝগড়ার জের ধরে মাকে হত্যা করেছে।’
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বন্দর) শেখ বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বাড়ির কেয়ারটেকার ফরিদা বেগম ও তার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পাশাপাশি হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার তদন্ত চলছে।