বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগুন কেড়ে নিল পাঁচ সদস্যের পরিবারকে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১ মার্চ, ২০২৪ ২০:৩৮

ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ৭ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে খাবার খেতে গিয়েছিলেন বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে। আর রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই ভবনে সৃষ্ট আগুনের পরিবারের সবাই মারা যান।

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামক বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারকসহ একই পরিবারের পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। কিছুদিন পরই তাদের ইতালি যাওয়ার কথা ছিল।

নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার, তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার, মেয়ে কাশফিয়া ও নূর এবং ৭ বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ। তারা রাজধানীর মধুবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

মোবারকের চাচাতো ভাই সৈয়দ ফয়সাল শুক্রবার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মোবারক তার স্ত্রী স্বপ্না, মেয়ে সৈয়দা তাশফি ও নূর এবং ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে বের হন ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য। তারা সেখানে পৌঁছানোর পর রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডে ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তারা সবাই মারা যান।’

ফয়সাল বলেন, ‘মোবারক প্রথমে সিঙ্গাপুরে ছিলেন। প্রায় ২০ বছর আগে তিনি ইতালি যান। সেখানে তিনি ব্যবসা করতেন। এর মধ্যে তার দেশে আসা-যাওয়া ছিল। দেড় মাস আগে প্রায় দুই বছর পর ইতালি থেকে দেশে ফেরেন মোবারক।

পরিবার নিয়ে ইতালিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। স্ত্রী-সন্তানদের ইতালি নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিসা ও টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন। ২০ মার্চ তাদের ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মর্মান্তিক এই অগ্নিকাণ্ডে সব শেষ হয়ে গেল।’

শুক্রবার বাদ আসর জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি নামক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে নারী-শিশুসহ প্রাণ গেছে অন্তত ৪৬ জনের। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল, বার্ন ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভবনের নিচতলার একটি দোকান থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তে কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় পুরো ভবন। ভবনটিতে বেশকিছু ফাস্টফুডের দোকান ও রেস্টুরেন্ট ছিল। নিহতদের বেশিরভাগই রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর